এম.পলাশ শরীফ, জেলা প্রতিবেদক:
ডিজিটাল বাংলার গ্রামীণ চিত্র এক যুগ পার হলেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এখানে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের একরামখালী-মঠবাড়ি সংযোগ খালের ওপরে নির্মিত হয়নি কাঠের পুল কিংবা ব্রীজ। ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের ভরসা বাশের সাঁকো।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জিউধরা ইউনিয়নের একরামখালী-মঠবাড়ি সংযোগ খালের ওপর কাঠের পুলটি ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে ভেঙ্গে যাওয়ার ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও পুনরায় নির্মাণ হয়নি ওই পুলটি। বাশের সাঁকোই এখন তাদের ভরসা। এ জনগুরুত্বপূর্ন সাঁকোটি থেকে প্রতিনিয়ত পার পার হয় শিক্ষার্থীসহ ২/৩ হাজার মানুষ। যাতায়েত করছেন একরাম খালী, মঠবাড়ি, চন্দনতলা, জিউধরা, লক্ষীখালী, ঘরামি বাজার, মাদ্রাসা বাজার, বরইতলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পঞ্চগ্রাম ইউসুফিয়া আলিম মাদ্রাসা, পঞ্চগ্রাম মোহাম্মাদিয়া (স.) এতিম খানা, একরামখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৯১ নং মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইমরান খানের বাজার, দুটি মসজিদ, খাবার পানির ব্যবহারে একটি সরকারি পুকুর উপজেলা শহর সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে।
সাঁকো পেরিয়ে আশা মো. রেদয়ান, রানা হাওলাদার, নাজমুল হাওলাদার সাব্বির খানসহ একাধিক স্কুল শিক্ষার্থীরা বলেন, কবে হবে আমাদের দুর্ভোগের শেষ? বৃষ্টির সময় সাকো পার হয়ে আমাদের স্কুলে যেতে খুবই কষ্ট হয়। সাকোটি থেকে পড়ে গিয়ে সহপাঠিরা অনেকেই আহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা একটি ব্রীজ চাই।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. হারুন হাওলাদার, মাদ্রাসা শিক্ষক মো. শাহজাহান আলী শেখ, ইমরান খান বলেন, এক যুগেরও বেশী সময় পার হয়ে গেলেও ভাঙ্গা পুলটি পুনরায় নির্মিত হয়নি। পরিষদের মাধ্যমে বরাদ্দে একবার সংস্কার করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রতিবছর সংস্কার করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ খালের ওপরে একটি ব্রীজ বা কাঠের পুল নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীসহ জনগনের চলাচলে আর ভোগান্তি থাকবে না। স্থানীয়রা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্যসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এ সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহনেরে জন্য জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, একরামখালী খালের ওপর গুরুত্বপূর্ণ সাকোটি সংস্কারের জন্য পরিষদের মাধ্যমে একবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। পরিষদের স্বল্প বাজেটে পুল কিংবা কালভার্ড করা সম্ভব নয়। তবে, ইতোপূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ বরাবর একাধিকবার আবেদন করা হয়েছিলো কোন ব্যবস্থা হয়নি।
এমআই