শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

তৃতীয়বারের মত লকডাউনের পথে জাপানের টোকিও ওসাকা ​এবং হিওগো

বুধবার, এপ্রিল ২১, ২০২১
তৃতীয়বারের মত লকডাউনের পথে জাপানের টোকিও ওসাকা ​এবং হিওগো

সৈয়দ জামান লিংকন

জাপান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে, নাগরিক অধিকার। পেনডেমিকের সময় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে, তবে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্ব রাস্ট্রের। যখনই আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা চিকিৎসা ব্যবস্থার সীমা অতিক্রম করে ঠিক তখনই জরুরি অবস্থা জারি করে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার সীমার মধ্যে রাখা হয়। এই নীতির ভিত্তিতে জাপানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়ে থাকে।

এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসে জাপানের সবচেয়ে নাজুক শহরের নাম ওসাকা। শহরটিতে প্রতিদিন হাজারের উপরে আক্রান্ত হচ্ছে এবং বাড়ছে সিরিয়াস রোগীর সংখ্যা যাদের লাইফ সাপোর্ট দরকার। ওসাকা শহরে লাইফ সাপোর্ট দেয়ার মত বেডের সংখ্যা ২৫০ এর মত অথচ গতকাল পর্যন্ত সিরিয়াস রোগীর সংখ্যা ছিল ৩২০ এর মত, অর্থাৎ পরিস্থিতি অনেকটাই ঢাকা শহরের মত। আরেকটি ভয়ংকর তথ্য হলো, গতমাস পর্যন্ত সিরিয়াস রোগী যাদের লাইফ সাপোর্ট দরকার তাদের গড় বয়স ছিল ৬৬, এ মাসে সেটা ৫৫ তে নেমে গেল, এজন্য অবশ্য দায়ী করা হচ্ছে লন্ডনইন্যা ভাইরাসটিকে।

জাপান সরকার বারবার রাতের রেস্টুরেন্ট, বার(মদের দোকান) কে সংক্রমণের প্রধান কারন হিসেবে দায়ী করলেও এক শ্রেণীর জাপানের নাগরিক সরকার/বিশেষজ্ঞদের কথা কানে তুলছে না এবং তাদের মাধ্যমে বারবার বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। কারন কাছাকাছি বসে ভাত খাওয়া কিম্বা পান করার সময় যখন গপ্পসপ্প করা হয় তখনই দুষ্ট করোনা ভাইরাস একমুখ থেকে আরেক মুখে আনন্দের সহিত ভ্রমণ করিয়া নতুন নতুন মুরগি (মানুষ) ধরে থাকে বংশবৃদ্ধি করে ঠিকে থাকার জন্য। এখন  আপনিই ঠিক করেন আপনি করোনা ভাইরাসের মুরগি হবেন কিনা।

জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করছে বলেই মনে হচ্ছে যদিও কিছু সংখ্যক আড়ালে আবডালে ইফতার পার্টির আয়োজন করে যাচ্ছে। আমি নিজেও ৩-৪ জায়গা থেকে দাওয়াত পেয়ে বিনয়ের সাথে সরি বলেছি। এক ছোট ভাই দাওয়াতে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে ফেইসবুকে ঘোষণা করল সে জ্বরে আক্রান্ত, এরপর বাকীটা ইতিহাস।

জাপানে সংক্রমণ কমানোর একমাত্র উপায় জিহ্বার সংযম, সে জাপানীজই হউক আর বাংগালীই হউক। আর যদি কন্ট্রোল করতে না পারেন তাহলে নিদেনপক্ষে যে কোন গেদারিং এ মাস্ক পড়ুন এবং খাওয়ার সময় ২-৩ মিটার দুরত্বে বসে কথা বার্তা না বলে চুপচাপ রসনা বিলাস সেরে নিন।

সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করুন।

লেখক : রিসার্চ ডিরেক্টর, মিতসুবিশি কেমিক্যাল অ্যাকুয়া সল্যুশন্স।

সময় জার্নাল/এসএ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল