নিজস্ব প্রতিনিধি:
নৌযান শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনে কর্মবিরতি পালন করছে মোংলা নৌ-বন্দরের শ্রমিকরা।
ফলে বন্দরে হাড়বাড়ীয়ার নোঙ্গরে ও ফেয়ারওয়ের বহি নোঙ্গরে অবস্থান করা সব বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে সরকারের আমদানি করা গম ও সার বোঝাই জাহাজগুলো। সময় মতো এ পণ্য খালাস ও পরিবহন না হলে ক্ষতিতে পড়বেন কৃষকেরা।
সোমবার বন্দরে চারটি ইউরিয়া সার ও একটি গমবাহীসহ অন্যান্য পণ্যের ৯টি বিদেশি জাহাজ রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে বন্দরে অবস্থান করা বিদেশি জাহাজের পণ্য ওঠানামা, পরিবহনের কাজ বন্ধ থাকলেও বন্দর জেটি, কন্টেইনার ও কার ইয়ার্ডের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, সোমবার বিকেল ৩টায় ঢাকায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আসা করছি বিকেলের এ বৈঠক ফলপ্রসূ হবে। ফলপ্রসূ হলেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে।
আর বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে চলমান কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
সময় জার্নাল/এলআর