সাইফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২২-২৩ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে অংশীজনদের অংশগ্রহণে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) টিমের আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম আলী হাসান। এছাড়াও ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দ, বিভিন্ন অফিস প্রধান এবং এপিএ সংশ্লিষ্ট কমিটির ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) চন্দন কুমার দাসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদেরকে প্রতিবছর ইউজিসি'র সাথে বার্ষিক পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট করতে হয়। শিক্ষা, গবেষণা, কোর্স কারিকুলাম, কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাৎসরিক আমরা কী কী কাজ করব তা আমরা বলে আসি।
তিনি বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা অনেক কিছুই করছি। সেই কাজগুলোর প্রামাণিক সফট কপি এবং হার্ডকপি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। নিজেকেই নিজের কাজটা কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে হয়। তাহলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে এবং জবাবদিহিতা প্র্যাকটিসে নিয়ে আসতে পারবো। এভাবে আমরা মানসম্পন্ন শিক্ষা বিতরণের লক্ষ্য নিশ্চিত করতে সক্ষম হব।
সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এপিএ কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে চাই। এজন্য সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। কার্যক্রমগুলোর বিবরণ সঠিক সময়ে জমা দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়াও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বার্ষিক পারফরম্যান্সে এবার যেকোনো মূল্যে ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে হবে। সকলের সহযোগিতা পেলে আসা করি সেটা সম্ভব হবে।
এমআাই