নিজস্ব প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের সামগ্রিক কর ব্যবস্থাপনা গণমুখী ও অধিকতর তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় আয়কর দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’- স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ৩০ নভেম্বর ‘জাতীয় আয়কর দিবস ২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশের সব করদাতা ও আয়কর বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং যারা এ বছর সেরা করদাতা সম্মাননা পাচ্ছেন তাদের অভিনন্দন জানান। এ বছর জাতীয় আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘যথাযথ কর প্রদানের মাধ্যমে করদাতাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’- অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও যথার্থ হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের রূপকল্পসমূহ বাস্তবায়নে বাজেট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অপরিহার্য। করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই কেবল লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে কর প্রদান, তাৎক্ষণিক ই-টিআইএন প্রদান, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল, আয়কর রিটার্ন পূরণে সহায়তা, চালান, ই-টিডিএস সিস্টেম এবং কর তথ্য-সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কর বিভাগের সঙ্গে করদাতা, অংশীজন ও নাগরিকদের মেলবন্ধনে দেশে আজ করসংস্কৃতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড করদাতা, ব্যবসায়ী এবং জনগণকে সহজ ও অব্যাহত করসেবা প্রদানের পাশাপাশি রাষ্ট্রের রাজস্ব ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচি দেশের রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি গড়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে। করদাতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশের সব কর অফিসে একযোগে নভেম্বর মাসব্যাপী ‘আয়কর তথ্যসেবা মাস’ এর মাধ্যমে করসেবা প্রদান করা হয়েছে। করদাতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করসেবা গ্রহণ ও কর প্রদান করার ফলে রাজস্বভান্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে।
নতুন করদাতা চিহ্নিতকরণ, সঠিকভাবে প্রযোজ্য কর নিরূপণ এবং করনেট বৃদ্ধির লক্ষ্যে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে এরইমধ্যে নির্বাচন কমিশন, বিআরটিএ, বিএফআইইউ, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর, বিডা, বেপজা, আইবাস সফটওয়ার, ডিপিডিসি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের স্বার্থে সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ ধরনের সৃজনশীল ও সমন্বিত কাজের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।
সময় জার্নাল/এলআর