স্পোর্টস ডেস্ক:
পোল্যান্ডের বিপক্ষে নান্দনিক ফুটবল খেলেছে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের ছন্দের কারিগর লিওনেল মেসি। পেনাল্টি মিসের ঘটনা বাদ দিলে ফরোয়ার্ড এবং প্লে-ম্যাকিংয়ের ভূমিকা দারুণভাবে পালন করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তবে স্পটকিকে ব্যর্থ হয়ে একটি অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ড গড়েছেন মেসি।
বুধবার রাতে পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। তার আগে প্রথমার্ধে পেনাল্টি আদায় করে নেন লিওনেল মেসি। তবে পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি বাঁ দিয়ে ঝাপিয়ে মেসির শট ফিরিয়ে দেন। ২০১৮ বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম পেনাল্টি মিস করেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৩টি পেনাল্টি শট থেকে ১টি গোল পেয়েছেন মেসি। আর সেটি হলো চলতি বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচে।
প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে বিশ্বকাপে দু’টি পেনাল্টি মিস করলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে দুটি পেনাল্টি মিসের বাজে অভিজ্ঞতা হলো মেসির।
এর আগে এমন রেকর্ড গড়েন ঘানার স্ট্রাইকার আসামোয়া জিয়ানকে। ২০০৬ বিশ্বকাপে চেক প্রজাতন্ত্র এবং ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন তিনি।
মেসির পেনাল্টি মিসের পর দ্বিতীয়ার্ধে আরো ক্ষুরধার হয়ে ওঠে আর্জেন্টাইন আক্রমণ বিভাগ। বিরতি থেকে ফিরেই জালের দেখা পান অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। এরপর ৬৭তম মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন জুলিয়ান আলভারেজ। লিওনেল মেসিও বেশ ক’টি সুযোগ তৈরি করেন। পেনাল্টি মিসে হতাশ হলেও মেসির ভাষ্য, সেটি তাদের খেলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল। ম্যাচশেষে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বলেন, ‘পেনাল্টি মিসে অনেক হতাশ হয়েছিলাম। কারণ একটি গোল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, এটি (পেনাল্টি মিস) আমাদের আরো শক্তিশালী করে তুলেছে। দারুণ একটি ম্যাচ ছিল। সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় ধাপ নিশ্চিত করায় আমরা আনন্দিত।’
এমআই