নিজস্ব প্রতিনিধি:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে । বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
ইসলামী ব্যাংক থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেনে অর্থ পাচার হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে দুদক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছেন পাঁচজন আইনজীবী। এ বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘চিঠি আমার হাতে এখনো পৌঁছায়নি।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংবাদটি পাওয়ার পরে যাতে অনুসন্ধান শুরু করা যায় সেই লক্ষ্যে তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ঝণ দেওয়ায় ব্যাংকগুলো অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। নানা উপায়ে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করে নেওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ও বাকি অর্থ সোশ্যাল ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেওয়া হয়। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে এসব ঋণ বের করা হয় তার মধ্যে বেশ কয়েকটিই ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছে।
যেগুলো মূলত নামসর্বস্ব কোম্পানি। এ রকম নামসর্বস্ব দুই কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেওয়া হয় দুই হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে, ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া ও এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনায় রিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সময় জার্নাল/এলআর