ক্রীড়া প্রতিবেদক:
২৬ রানে ২ উইকেট পড়ার পর বাংলাদশে দলের বিপর্যয় রক্ষা করার জন্য ভালোভাবেই হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস এবং সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ৪৮ রানের জুটিও গড়ে তোলেন তারা।
কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ করেই উইকেট দিয়ে বসলেন অধিনায়ক লিটন দাস। বাংলাদেশ দলের রান তখন ১৯.২ ওভারে ৭৪। ৪১ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন লিটন।
২০তম ওভারে বল করছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ওভারের দ্বিতীয় বলটিকে ফাইন লেগে গ্লান্স করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বলটি ছিল স্লোয়ার এবং হালকা টার্ন করেছিল। যে কারণে বল ব্যাট ছুঁয়ে গিয়ে জমা পড়ে উইকেটের পেছনে লোকেশ রাহুলের হাতে। আউট হয়ে যান লিটন দাস।
এরপর সাকিব এবং মুশফিক মিলে জুটি বাধেন। কিন্তু জুটিটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি বিরাট কোহলির এক অসাধারণ ক্যাচের কারণে। ২৪তম ওভারের তৃতীয় বলে সেই ওয়াশিংটন সুন্দরের স্লোয়ারে ধরা খেয়ে গেলেন সাকিব।
বোলারকে ভালোভাবে বুঝতে পারেননি সাকিব। তিনি বলটিকে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন। এক্সট্রা কভাবে কোহলি ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে ক্যাচটি তালুবন্দী করেন। এ ধরনের ক্যাচ ম্যাচের চিত্রও বদলে দিতে পারে। ভারত কী তবে কামব্যাক করলো ম্যাচে! ৩৮ বলে ২৯ রান করে আউট হন তিনি।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশ দলের রান ৩৪.৫ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৮। মুশফিকুর রহিম ৫ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যাট করছেন ১ রান নিয়ে।
লক্ষ্য মাত্র ১৮৭ রানের। ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। এমন একটি সুযোগ হেলায় হারাতে চাইবে না যে কেউ। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৮৭ রানের লক্ষ্য যে কেউ হেসে-খেলে পাড়ি দিয়ে দিতে সক্ষম। এমন একটি সুযোগের সদ্ব্যবহার কেমন করতে পারে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা, সেটাই দেখার বিষয়।
আপাতত, সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর ১৪ রান করে বিদায় নিলেন এনামুল হক বিজয়ও। ২৯ বলে খেলেন তিনি এই ইনিংসটি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে।
ভারতকে ১৮৬ রানে অলআউট করে দেয়ার পর ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত দীপক চাহারের করা ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরলেন স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়ে।
এর আগে সাকিব আল হাসান আর এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় রোহিত শর্মার দল। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন লোকেশ রাহুল। সাকিব আল হাসান ৩৬ রানে নেন ৫ উইকেট এবং এবাদত হোসেন ৮.২ ওভার করে নেন ৪ উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এমআই