এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম রবিবার বেলা ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
দলীয় কোন্দলে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনছার আলী দিহিদার (৫২), যুবলীগ নেতা শুকুর আলী শেখকে (৪০) একই দলের নেতাকর্মীরা হত্যা করেন। পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেওয়া হয় আনছার আলীর স্ত্রী মঞ্জু বেগমের (৪৫)। মঞ্জু বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মারা যান। ওই ট্রিপল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ৫৮জনকে আসামি করা হয়। শহিদুল ফকির ঘটনার দিনই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গ্রেফতার হন। ওই সময় পুলিশ তার ব্যবহৃত শর্টগানসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জব্দ করে।
মামলার বাদি মো. ফারুক শেখ বলেন, টানা ৫ বছর মামলার বিচার কার্য চলার পরে আজ রায় ঘোষণা করা হয়। এ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন ইউপি মেম্বার শুনিল দাস, মেম্বার মোদাচ্ছের আলী, ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুয়াল ও চৌকিদার ফারুক হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি শহিদুল ফকিরসহ ৫৬ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দু’জন মৃত্যুবরণ করেছেন। একজন পলাতক। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি ফারুক শেখ, আনছার আলরি ছেলে শাওন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কিছলুর রহমান খোকনসহ নেতাকর্মীরা।
এমআই