আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নাম তার জোনাথান। পরিচয়- একটি দৈত্যাকার কচ্ছপ। তারই জন্য দক্ষিণ আটলান্টিকের সেন্ট হেলেনা দ্বীপ সেজে উঠছে আলোয়। কেননা এই দ্বীপেরই অন্যতম বাসিন্দা সেশেলস জায়ান্ট টরটয়েজ জোনাথানের ১৯০ তম জন্মদিন।
মনে করা হয়, জোনাথনই বিশ্বের প্রাচীনতম বাসিন্দা। ১৮৩২ সালে জন্ম জোনাথনের। তারপর বহু ঘটনা পেরিয়ে আজও সে জীবিত। এ পৃথিবীর মাটিতে চলাফেরা করা প্রাণীদের মধ্যে জোনাথনই সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ। জোনাথনের বর্তমান বাসস্থান এই দ্বীপরাষ্ট্রের গভর্নরের বাসভবন।
সেখানেই মানুষ আসেন তাকে দেখতে। সেন্ট হেলেনার পর্যটন প্রধানের মতে, জোনাথনের আসল বয়স নাকি ২০০ পেরিয়ে গেছে। তবে ১৮৩২ সালটিকেই তার জন্মবর্ষ হিসাবে ধরা হয়ে থাকে।
বয়সের ভারে দৃষ্টিশক্তি ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়েছে জোনাথন। কিন্তু তার শ্রবণশক্তি এখনও অটুট। সামান্য আওয়াজেও তার মুখ নড়ে ওঠে। জোনাথনের চিকিৎসক অবশ্য বলছেন অন্য কথা। তাঁর মতে শরীর-মন ভাল থাকলে জোনাথনের মেজাজ চাঙ্গা থাকে।
গভর্নরের বাসভবনে জোনাথন একা থাকে না। সঙ্গে থাকে আরো তিনটি অতিকায় কচ্ছপ- ডেভিড, এমা ও ফ্রেড। তিনজনের বয়সই নাকি ১০০ পেরিয়েছে!
জোনাথান অবশ্য সেন্ট হেলেনা দ্বীপে আসা সবচেয়ে বিখ্যাত বাসিন্দাটির সাথে দেখা করতে পারেনি। তার নাম নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। ১৮১৫ সালে তাকে এই দ্বীপে পাঠানো হয়েছিল। ছয় বছর পরে তার মৃত্যু হয়।
সময় জার্নাল/এলআর