নিজস্ব প্রতিনিধি:
সারা দেশে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে চার দিনে গ্রেপ্তার মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৯৫।
যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকার ২৫৫ জন।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৫টি মামলা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অস্ত্র, ককটেল ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। পুলিশ বলছে, ঢাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং মহান বিজয় দিবস, খ্রিষ্টানদের বড়দিন ও খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ (থার্টি ফার্স্ট নাইট) উদ্যাপন নিরাপদ–নির্বিঘ্ন করতে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর সারা দেশে বিশেষ অভিযান চলবে।
অবশ্য বিএনপির দাবি, ১০ ডিসেম্বর দলের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে পুলিশ বিশেষ অভিযানের নামে তাদের নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। দলটি গতকাল দাবি করেছে, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ২৪ ঘণ্টায় দলের অন্তত ২৮৪ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মুন্সিগঞ্জ সদর, শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় বিএনপির ৯ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন থানায় বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়। শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষায় এসব মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে। তবে কোথাও কোনো সাধারণ মানুষকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
সাতক্ষীরার তালায় দুটি ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাঁদের একজন বিএনপি ও অন্যজন জামায়াতের নেতা। পুলিশের ওপর হামলার মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়েছে থানার পক্ষ থেকে। ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতার ঘটনায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীর করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি থানা এলাকা থেকে বিএনপির ১১ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর