স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে পার্টি অফিসে প্রবেশ করেন তারা। এসময় গত ৭ই ডিসেম্বর দলীয় অফিসে পুলিশের নজিরবিহীন বর্বরতার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী নজিরবিহীন বর্বরতা চালিয়েছে বিএনপি অফিসে। ফাইলপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, অর্থ লুট, সকল অঙ্গ সংগঠনের অফিস ভাঙচুর, জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে। ৭ তারিখ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে পুলিশ। যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। নিন্দা করার ভাষা নাই। অফিস থেকে সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। ৪ শতাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এইসব গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য ছিলো ১০ই ডিসেম্বরের সমাবেশ পণ্ড করা। মধ্যমপন্থি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি তাদের কর্মসূচি করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি সমাবেশে বাধা দিয়েছে সরকার। সরকার কোন ভিত্তিতে এই ঘটনা ঘটালো তা আমাদের হিসাবে মেলে না। তাদের হিসাবে খেলা কিন্তু বিএনপি এই খেলায় বিশ্বাস করে না। জনগণ বিক্ষুব্ধ, জনগণ রায় দিয়েছে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব না। জনগণ সরকারকে আর চায় না। ৭ই ডিসেম্বরের আচরণ প্রমাণ করে এ সরকার গায়ের জোরের সরকার। ১০ দফা দিয়েছি। এই ১০ দফাকে সমর্থন করে যারা যুগপৎ আন্দোলন করবে তারাও কর্মসূচি দিয়েছে। নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ১৩ই ডিসেম্বর নয়াপল্টন অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি।
মোশাররফ আরো বলেন, গতকাল অফিসে আসতে পেরেছি, কি কি খোয়া গেছে তার তালিকা করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নিবো কি করবো। ১০ ডিসেম্বরে যা প্রত্যাশা করেছিলাম তার থেকে বেশি জনসমাগম হয়েছে। তারপর সরকার যদি এটাকে ব্যর্থ বলে তাহলে কিছু বলার নাই। সরকার দিশেহারা, তারা কোন সময় কি বলবে তা নিয়ে আমরা ভ্রুক্ষেপ করি না। দেশের জনগণও জানে সরকার যা বলে তা করে না।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান বলেন, ১০ তারিখের সমাবেশের লক্ষ্য ছিলো মানুষের সামনে তুলে ধরা বর্তমান সরকারের চরিত্র। বিরোধী দল সরকারের একটি অঙ্গ, তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিলে রাস্ট্র ব্যবস্থা থাকতে পারে না এবং নেইও।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের নির্দেশের তাদের দলের কর্মীরা ১০ তারিখ ঘিরে এমন কোন অপকর্ম নাই করেনি। আতঙ্কিত করছে সরকার, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন গণতান্ত্রিকভাবে করবো, এবং এই সরকারের বিদায় জানাবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, অনিন্দ ইসলাম অমিত, বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, নাজিম উদ্দিন আলম, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, শাম্মী আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এমআই