এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আদালতের নির্দেশনায় মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জের বরাবরে রিসিভার হিসেবে জিম্মায় রাখা মাঠের ফসলী ধান পাকার আগেই কেটে নিলো দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে।
মামলা সূত্রে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার মঙ্গলবার জানান, সোনাখালী গ্রামের কৃষক গৌরাঙ্গা চন্দ্র শীল ভাই আশিষ চন্দ্র শীলের পরিবারের ১০ একর ৯৪ শতক জমি নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে সহকারী জজ বাগেরহাট আদালতে মামলা চলে আসছে প্রতিবেশী একই গ্রামের নিতাই চন্দ্র শীলের সাথে। নালিশী জমির মধ্যে ৩৯ শতক জমি ধান কাটারা আশংকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গোপাল চন্দ্র শীল বাদি হয়ে ১৪৪ ধারা মামলা করেন। যার মামলা নং-মিস-১১৭৫/২০২২।
বিজ্ঞ আদালত মোরেলগঞ্জ থানা ওসিকে বর্ণিত তফশীল সম্পত্তির ধানের রিসিভার হিসেবে আদেশ প্রদান করেন। একই সাথে উভয় পক্ষকে স্থীতিশীল রাখা ও শান্তি শৃংখলা রাখারা নির্দেশ দেন। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী নিতাই চন্দ্র শীল আদালতের এ আদেশ অমান্য করে শুক্রবার ভোর রাতে ৩৯ শতক জমির কাচা ধান ভাডাটিয়া লোকজন নিয়ে কেটে নেয়।
এ ঘটনার পরপরই দিনমজুর কৃষক গোপাল চন্দ্র শীল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল বিবাদীর বাড়ি থেকে কর্তৃনকৃত ধান উদ্ধার করে গ্রামপুলিশের জিম্মায় রাখেন। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের গোপাল শীল, আশিষ শীল, শ্যামলী রানী, গীতা রানী বলেন, জমির কাচা ধান কেটে নিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি ওরা। বহিরাগত লোক দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আতংকে রেখেছে আমাদের পরিবারের সকলকে। চাপ সৃষ্টি করছে শালীস বৈঠকেরও চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে ১৪৪ ধারাজারিকৃত তদন্তকারি কর্মকর্তা থানার এসআই অনুতাপ ঘোষ বলেন, আদালতের নির্দেশনায় উভয়কে নোটিশ করে রিসিভারকৃত ধান কাটা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে ।
এ সর্ম্পকে নিতাই চন্দ্র শীল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ২০০৪ সালে ৩৯ শতক জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। আমার জমির ধান আমি কেটেছি। অন্যের জমির ধান কাটেনি। আদালতের রিসিভার সর্ম্পকে অবহিত নই। নোটিশ পেয়েছি বিকেলে ধান কাটা হয়েছে সকালে।
সময় জার্নাল/এলআর