স্পোর্টস ডেস্ক:
শেষ হয়েছে মরুর দেশে বসা ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর। এ আসরের ট্রফি উঠেছে এক জাদুকরের হাতে, যে কিনা ফুটবলের বিগত সব কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে ইতিমধ্যে চলে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়। বলছিলাম আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির কথা।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শহর রোজারিও। সে শহরে বেড়ে উঠেছিলেন আর্জেন্টিনার খুদে জাদুকর লিওনেল মেসি। যার জাদুতে গত রোববার কাতারে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা নিজেদের করে নিয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি। বার্সেলোনায় যাওয়ার আগে এই শহরেরই ‘লা বাজাদা’ এলাকায় থাকতেন তিনি। মেসির হাতে ট্রফি ওঠার পর থেকেই এ শহর জুড়ে চলছে উদ্যাপন। আবেগে ভেসেছে রোজারিও-এর রাস্তাঘাটে থাকা মানুষজনও। রোজারিওতে মেসি কাটিয়েছেন শৈশবের ১৩ বছর। এরপর চলে গিয়েছিল স্পেনের বার্সেলোনায়। তবে স্পেনে যাওয়ার আগে মেসি সেখানকার সড়ক—যেখানে ফুটবল প্রতিভার প্রাথমিক বিকাশ হয়েছিল অস্তিত্বের ছাপ রেখে গেছেন। ছোট্ট শহরটিতে এখন আর না থাকলেও, এখনো অনেকভাবেই সেখানে রয়ে গেছেন তিনি। এখানকার বিশাল ম্যুরাল আর বাসিন্দাদের স্মৃতিতে এখনো বাস করেন জাদুকর লিওনেল মেসি।
এর আগে কাতারের ফাইনালে ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে হাজারে হাজারে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রোজারিওর কেন্দ্রস্থলে। ম্যাচ শেষে যখন মেসির ট্রফি উঁচিয়ে ধরে তখন ড্রাম বাজিয়ে, গান গেয়ে, নেচে রাতভর আয়োজন চলেছে সেখানে। আর সেই সঙ্গে চলেছে মেসির নামে জয়ধ্বনি, মারাদোনার নামে জয়ধ্বনি। বিশ্বকাপ শুরু থেকেই রোজারিও শহর জুড়ে রাস্তায় কিংবা বিভিন্ন বাড়িতে লিওনেল মেসির গ্রাফিটি করে সে এলাকার বাসিন্দারা। কারণ সেই এলাকার মানুষ বিশ্বাস করেছিল এবার ফাইনালে মেসির নেতৃত্বেই কাপ জিতবে, আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনায় এর আগে সব শেষ দিয়েগো মারাদোনার জাদুতে ১৯৮৬ সালে ট্রফি গিয়েছিল। এরপর কেটে গেছে আটটি বিশ্বকাপ। এর মধ্যে দুই বার খেলেছিল ফাইনাল, তবে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। রোববার তৃতীয় বারের মতো ফাইনালে উঠে এবার আর ব্যর্থ হয়নি লিওনেল মেসির দল। দানে দানে তিন দান—এর মতো আর্জেন্টিনার তৃতীয় ফাইনালে তিন-তিন গোলের সমতায় এ ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ অবদি জয় তুলে ট্রফি খড়া কাটাল ল্যাটিনের দেশটি।
এমআই