গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
ব্যস্ত নাগরিক জীবন এখন। এরমধ্য একটু ছুটি পেলে সবাই ছুটতে থাকে নির্মল বাতাসের খোঁজে। পাহাড়-সমুদ্র-জঙ্গলে হারিয়ে যেতে চায় সকলে। পাহাড়-সমুদ্রঘেরা মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও সৈকতের ১১টি পয়েন্টে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। টানা তিন দিনের ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পরা ভিড়।
পর্যটকদের বাড়তি চাপের ফলে ফাকা নেই হোটেল-মোটেল। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে সৈকত ও সড়কে ঘুরছেন। কোন উপায় না পেয়ে অনেকেই মসজিদেও রাত্রি যাপন করেছেন। অনেকে গুনছেন কয়েকগুন বাড়তি ভাড়া। তার পরও মিলছে না থাকার জায়গা।আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।
পর্যটকদের অভিযোগ, বাড়তি চাপের কারণে রেস্তোরাঁ, যানবাহনসহ সব জায়গায় বাড়তি অর্থ আদায় ছাড়াও নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
সাগরের নীল জলরাশি ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন প্রায় তিন লাখ পর্যটক। শহরের ৪ শতাধিকের বেশি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে এখন ঠাঁই নেই অবস্থা। আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো রুম খালি নেই বলে জানিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
পর্যটকদের দায়িত্বে নিয়োজিত লাইফগার্ড কর্মী ইউছুফ বলেন, সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের চাপ অনেক বেশি। যা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি গাজী মিজান বলেন, কক্সবাজার জেলায় যত পর্যটক স্পট রয়েছে সেখানে তিন দিনের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যটকদের যেন কোনো প্রকার হয়রানি না হয় সেজন্য হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
কক্সবাজার পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা ২৪ ঘণ্টা মাঠে আছি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সর্বদা প্রস্তুত’।
সময় জার্নাল/এলআর