সময় জার্নাল ডেস্ক:
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সকল অনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোট । প্রতিটি কেন্দ্রে যে পরিমাণ ইভিএম ব্যবহার হবে, তার দ্বিগুণ ইভিএম প্রস্তুত রয়েছে। কোনো ধরনের কোনোখানে ইভিএমে সমস্যা হলে সেটি কেন্দ্রে থাকা টেকনিক্যাল লোকজন ঠিক করে দেবে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। গতকাল রোববার মধ্যরাতে পর্দা নেমেছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার। বিজয়ী এবং বিজিতের মধ্যকার ভোটের ব্যবধানের হিসাবের ফারাক হবে কত, সেই হিসাবকষাকষি নিয়ে ব্যস্ত সবাই।
জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি বলছে, এবারো বিজয়ী হবে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এবং পরাজিত প্রার্থীর সাথে ভোটের ফারাক হবে দেড় থেকে দুই লাখ, যা ২০১৭ সালে প্রায় লাখ ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীককে হারানোর রেকর্ডের দেড় থেকে দুই গুণ হবে বলে দাবি তাদের।
অন্য দিকে এই নির্বাচনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া দাবি করেছেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন এবার। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটে কে নির্বচিত হবেন- নৌকা নাকি লাঙ্গল তা বলা মুশকিল।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১২ সালে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর তৃতীয়বারের মতো কাল অনুষ্ঠিতব্য রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোটের মূল আকর্ষণ হলো মেয়র পদকে ঘিরে।
নির্বাচন বিশ্লেষক সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের রংপুর মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, ২০১৭ সালের ভোটের হিসাবের অনেক কিছুই বদলে যাবে। যিনি বিজয়ী হবেন তার চেয়ে নিকটতমের ভোটের ব্যবধান দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনের চেয়েও বেশি হওয়ার কথা বলছেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্র জানিয়েছে, এবার ভোটার ও কেন্দ্র সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর ১৯৩টি কেন্দ্র থাকলেও ৩৬টি বেড়ে কেন্দ্র সংখ্যা হয়েছে ২২৯টি। এ ছাড়াও এবার স্থায়ী ভোট কক্ষ করা হয়েছে এক হাজার ৩৪৯টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ আছে ১৯৩টি। গত ২০১৭ সালের নির্বাচনের ভোটার সংখ্যার তুলনায় এবার ভোটার বেড়েছে ৩২ হাজার ৫৭৫ জন।
গত বছর তিন লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন ভোটার থাকলেও এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনে। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং মহিলা দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর আরো জানিয়েছে, ভোট অনুষ্ঠানের জন্য একজন রিটার্নিং কর্মকর্তার পাশাপাশি ১১ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার; মোট চার হাজার ২৭৬ জন ব্যক্তিকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এই নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল, গোলাপ ফুল প্রতীকের খোরশেদ আলম, দেয়ালঘড়ি প্রতীকের খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের শফিয়ার রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লতিফুর রহমান মিলন এবং মেহেদী হাসান বণি মেয়র পদে এবং ১৭৮ জন সাধারণ এবং ৬৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সময় জার্নাল/এলআর