রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
শীত জেঁকে বসেছে দেশের উত্তারাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা জেলা কুড়িগ্রামে। ঘন-কুয়াশা সাথে কনকনে ঠান্ডায় অনেকটাই বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে এ জেলার জন-জীবন। বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। দিনভর সুর্যের দেখা না মেলায় কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে প্রকৃতি। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডার প্রকোপ। কুয়াশার চাদরে পথ-ঘাট ও প্রকৃতি ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। গত কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
এই পরিস্থিতিতে চরম চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র মানুষজন। ব্যহত হয়ে পড়েছে দৈনন্দিনের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাও। শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবিরা। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে শীত কষ্টে ভোগা মানুষ।
রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের আছমা বেগম জানান, কনকনে ঠান্ডা পড়েছে। হাতপা ধরে আসছে। কাজকর্ম করতে পারছি না। কম্বল নাই। গরম কাপড় নাই। খুব কষ্টে আছে।
জেলা শহরের রিকশা চালক সাইফুল ইসলাম জানান, শীতে খুব কষ্টে আছি। সময়মতো রিকশা নিয়ে বেড়াতে পারছি না। আয় রোজগার কমে গেছে। আমরা দিনে যা রোহগার করি তা দিয়েই সংসার চালাই। এখন সংসার চালানো খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তুহিন জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরো নিম্নগামী হবে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহিনুর রহমান শিপন জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে রোগীর চাপও বেড়েছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট বেডের বিপরীতে দ্বীগুনেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। বেশি রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দেয়া কষ্টকর হলেও সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, চলতি শীতে সরকারীভাবে জেলার ৯ উপজেলায় ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
এমআই