শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ারবাজার

বছরের প্রথম দিনে লেনদেন হ্রাস পেয়েছে ১৭৮ কোটি টাকা

সোমবার, জানুয়ারী ২, ২০২৩
বছরের প্রথম দিনে লেনদেন হ্রাস পেয়েছে ১৭৮ কোটি টাকা


অর্থনীতি ডেস্ক: 


২০২৩ সালের প্রথম দিনটি ভালো গেলো না শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের। মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের দেখতে হলো লেনদেন খরা। গতকাল রোববার বছরের প্রথম কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ১৭৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা গত বৃহস্পতিবার গত বছরের শেষ কার্যদিবসের তুলনায় ১৬৭ কোটি টাকা কম। গতকালের এ লেনদেন ২০২০ সালের ৭ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন।


গতকালের লেনদেন সর্বশেষ ১০ বছরের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বিবেচনায় গতকালের তুলনায় কম লেনদেন হয়েছিল ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি। ওই দিন ডিএসইতে ১৫৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। বাজার সংশ্নিষ্টরা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি লেনদেন বিবেচনায় বছরের প্রথম বা শেষ দিনের লেনদেনের বিশেষ কোনো তাৎপর্য নেই। বছরের প্রথম কার্যদিবসে সব কিছু ভালো থাকার অর্থ এই নয় যে, পুরো বছর ভালো যাবে। 

যেমন ২০২২ সালে হয়নি। তেমনি পতন দিয়ে বছর শুরুর অর্থ এই নয় যে, পুরো বছর খারাপ যাবে। এর আগে বিভিন্ন বছরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের বছরের শেষ দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। আবার কোনো কোনো বছরে লেনদেন কমেছে। সার্বিকভাবে এখন লেনদেনে খরা চলছে। কয়েক দিন আগেও ২০০ কোটি টাকার নিচে নামে লেনদেন।


বছরের প্রথম দিনের লেনদেনের বিষয়ে কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, গত শনিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কিছু মন্তব্য নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শনিবার বিকেলে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বিএসইসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সেকেন্ডারি শেয়ারবাজার দেখার দায়িত্ব ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের, বিএসইসির নয়। 


এ বিষয়ে মন্তব্য চাইতে ডিএসই ও সিএসইর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, এমন কিছু শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি কম হয় এবং সেগুলোর নিচের সার্কিট ব্রেকার ১ শতাংশ করা হয়েছে। বাজারে যাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে বিষয় বিবেচনায় রেখে বাকি শেয়ারগুলো থেকেও পর্যায়ক্রমে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যখন অর্থনীতি ঠিকভাবে চলছিল না, তখন শেয়ারবাজারের অস্বাভাবিক উত্থানের সাফল্য বিএসইসি নিয়েছিল। গত বছর শেয়ারবাজারে পরিস্থিতি ভালো গেলে, তারও কৃতিত্ব দাবি করত। এখন করছে না, কারণ বাজার এখন ভালো নেই। ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বাজারকে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে। এ কারণে বছরের শুরুতে লেনদেন কমে ২০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে।


বছরের প্রথম দিন ডিএসইতে ৩৩০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৯টির দর। বাকি ১৬২ শেয়ার ও ফান্ডের দর অপরিবর্তিত ছিল। এ ছাড়া ক্রেতার অভাবে ৬০ শেয়ার ও ফান্ডের কোনো কেনাবেচাই হয়নি। ফ্লোর প্রাইসের ওপর থাকা বেশিরভাগ শেয়ার দর হারানোয় ডিএসইএক্স সূচক ১১ পয়েন্ট হারিয়ে ৬১৯৫ পয়েন্টে নেমেছে।


এসএম 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল