বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

নবম-দশম শ্রেণির বইতে ভুলের ছড়াছড়ি

সোমবার, জানুয়ারী ২, ২০২৩
নবম-দশম শ্রেণির বইতে ভুলের ছড়াছড়ি

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

ভুলের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি।নবম-দশম শ্রেণির তিনটি বইয়ে তথ্যবিভ্রাট ও ভুলেভরা নতুন পাঠ্যবই। এমন অসঙ্গতি মিলেছে ৩০ টিরও বেশি বইকে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ এবং ইতিহাস নিয়ে লেখায় সবচেয়ে বেশি ভুল ধরা পড়েছে। 


নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ১৮১ পৃষ্ঠায় লেখা আছে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশজুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠে। অথচ হানাদারদের তাণ্ডব শুরু হয়, ২৫ মার্চের কালরাত থেকে। ওই রাতের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার।


একই বইয়ের ২০০ পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। আসলে এটি হবে, রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীকে, প্রধান বিচারপতি নয়, রাষ্ট্রপতি শপথ পড়ান। 


আর ২০৩ পৃষ্ঠায় সংবিধানের বিভিন্নভাগে কোন কোন বিষয় থাকে, তাতে লেখা "পঞ্চমভাগে জাতীয় সংসদ" আসলে এটি হবে "পঞ্চমভাগে আইনসভা"। নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের পৃষ্ঠা ৬ এ লেখা আছে, ৫৪ সালের নির্বাচনে ৪টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। দল চারটি হলো- আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম ও গণতন্ত্রী দল। কিন্তু মূলত ৫টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। অন্য দলটি ছিল, পাকিস্তান খেলাফতে রব্বানী পার্টি। 


এই বইয়ের পৃষ্ঠা ১১ তে লেখা, আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এখানে হবে, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। পৃষ্ঠা ১৬ তে লেখা ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্প ও পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প। শুদ্ধ হবে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ও পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর। 

পৃষ্ঠা ২২ এ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি। কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস হলো, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। 


নবম-দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ের ২৩ পৃষ্ঠায় আইনের প্রকারভেদে ব্যক্তিগত আইন ও সরকারি আইনের কথা লেখা হয়েছে। একই বইয়ের ৬৩ পৃষ্ঠায় লেখা, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান, সচিব। 


উল্লেখ্য, পাঠ্যবইয়ে ভুল নিয়ে গেল ২৯ নভেম্বর এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে তুলোধুনো করেন হাইকোর্ট। ভুল সংশোধন করে ফের হাজির হতে বলা হয়, এনসিটিবি কর্তাদের। কিন্তু ২০২৩ এর পাঠ্য বইয়েও রয়েছে ভুলের ছড়াছড়ি। বিশেষ করে বাংলাদেশের অনেকে ইতিহাসের দিনক্ষণই ঠিক নেই। এত এত ভুল দেখে বিস্মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি জানান, আগের ভুলগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায়, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


এসএম



Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল