সময় জার্নাল ডেস্ক:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও তার স্ত্রী বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ রবিবার, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী সরকারের আন্দোলনের ফসল ১/১১-এর জরুরী সরকার মাইনাস-২ ফর্মুলা বাস্তবায়নসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে নেতৃত্বশুন্য করে দেশকে বিরাজনিতীকরণ করতে চেয়েছিল। সেই সময় জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও শুধু তারেক রহমানের স্ত্রী ও জিয়া পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে ডা.
জোবায়দা রহমানকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য যে, সেই জরুরী সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তার সেই মামলাগুলো তুলে নেয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদার বিরুদ্ধে দুদকের করা এই মামলা বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখা হয়।
তারা আরও বলেন, এমন একটা সময়ে সম্পত্তি ক্রোকের এই আদেশ দেওয়া হলো, যখন তারেক রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচার এই সরকারের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন চলছে। শতবাধা, গ্রেপ্তার, গুলি, মিথ্যা মামলা, হামলা চালিয়েও আন্দোলন দমাতে না পেরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে নেতা-কর্মী ও জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতেই সরকারের ইঙ্গিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শীর্ষ দুই নেতা আরও বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবেনা। তারা অবিলম্বে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এ রায় বাতিল করার দাবি জানান এবং সরকারকে এসব হীন ষড়যন্ত্র পরিত্যাগ করে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানান।
এমআই