সর্বশেষ সংবাদ
নিজেস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবচেয়ে বড় অভিযোগ রান না হওয়া। বিশেষ করে মিরপুরের উইকেটে লো স্কোরিং ম্যাচ নিয়ে চরম বিরক্ত ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এবারের আসরেও প্রথম ম্যাচে মাত্র ৮৯ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে বিশ্লেষকরা বারবার বলছিলেন উইকেটে রান আছে, কিন্তু অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে রান হচ্ছে না। তাদের কথা যে অমূলক নয়, সেটা প্রমাণ পাওয়া গেলো গত দুই দিনে। চলতি আসরে সোমবারের আগ পর্যন্ত শুধু রাতের ম্যাচে রান হচ্ছিল, কিন্তু রোদ ওঠার পর সোমবার দিনের ম্যাচেও রান হয়েছে। টানা বেশ কয়েকদিন কুয়াশা থাকার পর রোববার (৮ জানুয়ারি) মিরপুরের আকাশে রৌদ উঠেছিল। তবে সেদিন বিপিএলের কোনো ম্যাচ ছিলা। কিন্তু সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুই ম্যাচেই ঠিকই প্রমাণ হলো রোদ হলে মিরপুরের উইকেটেও রান আসে। টি-টোয়েন্টি চার-ছক্কার খেলা। তিন ঘণ্টায় দর্শকদের প্রত্যাশা থাকা হাই-স্কোরিং ম্যাচ হবে। দুই দলের ব্যাটাররা বিধ্বংসী ইনিংস খেলবেন। গত দুইদিনে এসবই মিটিয়েছে বিপিএল।শনিবার(৭ জানুয়ারি) রাতের ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য দাড় করিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। তাদের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ৩২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস পুরো গ্যালারি মন ভরে উপভোগ করেছিল। তবে বরিশালের দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্যও যেভাবে টপকে গিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স তাতে তারাও বাহবা পাওয়ার যোগ্য।তবে চলতি আসরে সবচেয়ে জমজমাট দিন গেল সোমবারই। দিনের প্রথম খেলায় জাকের আলির অসাধারণ ফিফটিতে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দাড় করিয়েছিলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যেখানে তারা মেরেছে ১২ চার ও চার ছক্কা। দিনের খেলা বলে সেটাকেই অনেক বেশি মনে হচ্ছিল। তবে এসব পাশে রেখে ১৪৯ রানকে যেন মামুলি লক্ষ্য বানিয়ে ফেললো সিলেট। তৌহিদ হৃদয় আর জাকির হাসান মিলে যেন ইচ্ছামতো পেটালেন কুমিল্লার বোলারদের। ১৪৯ রান টপকাতে গিয়ে সিলেট সমান ৯টি করে ছক্কা হাঁকিয়েছে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ যেন এখন পর্যন্ত আসরের সেরা ম্যাচ হয়ে রইলো। অন্যরা ব্যর্থ হলেও খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খান ব্যাট হাতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের রীতিমতো ধবলধোলাই করেছেন। চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করতে গিয়ে আজম খান মেরেছেন ৯ চার ও আট ছয়। আর বাকিরা মিলে মেরেছেন সাত চার ও দুই ছক্কা। তার প্রত্যেকটা ছয়ে গর্জে উঠেছে মিরপুরের গ্যালারি যেটা বুঝিয়ে দিয়েছে এটাই সেই ইনিংস যেটা তারা দেখতে এসেছে। তবে আজমের সেঞ্চুরির জবাব সেঞ্চুরি দিয়েই দিয়েছেন চট্টগ্রামের আরেক পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান। চট্টগ্রামের ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ও`দাউদকে নিয়ে ব্যাট নয় যেন খুলনার বোলারদের উপর রোলার কাস্টার চালিয়েছেন তিনি। দাউদ সেঞ্চুরি না পেলেও ৫৮ রানের ইনিংসে চার মেরেছেন পাঁচটি আর ছক্কা তিনটি। উসমান আর দাউদকে ব্যাটিং করতে দেখে মনে হচ্ছিল ছক্কা আর চার মারাই পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজ।অন্যদিকে উসমান ১০৩ রানের ইনিংস খেলতে গিয়ে খুলনার বোলারদের বল মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন ১৫ বার। যেখানে ছিল ১০ চার ও পাঁচ ছক্কা। এসএমসবমিলিয়ে চার ছক্কার এক জমজমাট দিন পার করলো বিপিএল। সোজা বাংলায় বললে দর্শক মূলত এইরকম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, এরকম বিধ্বংসী সেঞ্চুরি দেখতেই মাঠে আসেন। ফলে বিপিএলের মান আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে এরকম হাই-স্কোরিং ম্যাচের পরিমাণ বাড়া দরকার।
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল