এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৫৫ নং উত্তর সুর্যমুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকট ও খুপরি ঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। পরিত্যাক্ত ভবন অপসারণ হলেও সেখানে খেলার মাঠে গর্ত খুড়ে মাটির স্তুপ ফেলে রেখেছে মাসের পর মাস। দুর্ঘটনার আশংকায় শিক্ষার্থীরা। একাধিকবার সলেয় টেষ্ট হলেও দেখা মিলছেনা নতুন ভবনের।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কাটাখালের তীরবর্তী উত্তর সুর্যমুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৬২ জন। শিক্ষক মন্ডলীর ৫টি পদ থাকলেও প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষকের দুটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। টিনশেডের ছাউনি ৩ কক্ষের একটি কাঠের খুপরি ঘরে অফিস রুমসহ শ্রেনীকক্ষে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। গত বছরের নভেম্বর মাসে এ বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ন পরিত্যাক্ত ভবনটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপসারণ করার কথা থাকলেও প্রাপ্ত টেন্ডার দাতা ভবনের ইট তুলে নিলেও দায়সারাভাবে মাটি খুড়ে গর্ত করে ফেলে রেখেছে।
ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ের কোমলমাতি শিশু শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মল্লিক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নূর মোহাম্মদ মল্লিক, সোহেল মল্লিকসহ বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবকরা বলেন, দীর্ঘদিনের পুরাতন এ স্কুলটি আসে পাশের কয়েক গ্রামের ছেলে মেয়েরা এ বিদ্যালয়ে আসে। নদী গর্ভে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে আসার পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ভবন ভেঙ্গে ছোট খুপড়ি ঘরে পাঠদানে ছাত্রছাত্রীদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। নতুন একটি ভবনের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরসহ উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বলেন, পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। কিন্তু মাটি খুড়ে গর্তগুলো ভরাট না করে খামখেয়ালীভাবে কাজটি করে চলে গেছেন। গর্তগুলো সমতাল করে দেয়নি। বিষয়টি তাৎক্ষনিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ স্কুলটির ভবনের জন্য একাধিকবার সয়েলটেষ্ট করা হলেও ভবনের দেখা নেই।
উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ উপজেলায় একাধিক নতুন স্কুল ভবনের তালিকা ইতোমধ্যে উর্দ্ধতন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। চলমান একটি ভবনের কাজ টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উত্তর সুর্যমুখী বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনটি অপসারণ করা হয়েছে। তবে, সেখানে মাটি খুড়ে রেখে ভোগান্তির বিষয়টি যেনে তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারকে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির একবার সয়েলটেষ্ট হয়েছে। তবে, নতুন ভবনের তালিকায় রয়েছে কিনা সেটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মকর্তারাই বলতে পারবেন।
এমআই