বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৩
সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
গ্রামবাংলার বাহারি পিঠা নিয়ে নরসিংদী সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে কলেজটির ১৯টি বিভাগ ও ৬টি সংগঠন পিঠার স্টল দিয়েছেন।মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুর হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই পিঠা উৎসব উদযাপিত হয়।
প্রধান অতিথি থেকে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন নরসিংদী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোশতাক আহমেদ ভূঁইয়া। এ সময় কলেজের প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসব ঘুরে দেখা গেছে, কলেজটির মোট ১৯টি বিভাগ ও কলেজের ভেতরে বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় ৬টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বমোট ২৫টি স্টল ছিল। প্রতিটি স্টলে ২০ থেকে ৩০ ধরণের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। পুরো সময়জুড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোকজন এতে সামিল হন। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে নানা পদের পিঠা চেখে দেখতে দেখা গেছে তাদের।
প্রদর্শিত পিঠার মধ্যে ছিল তেলের পিঠা, ফুলপিঠা, মশলা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিশাপটা, ডিম পোয়া, নারিকেল পুলি, ডিম সুন্দরী, ভেজা পুলি, দুধ পুলি, সেমাই, ক্ষীরের পুলি ইত্যাদি। স্টলগুলোতে প্রদর্শিত এসব পিঠার অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে তৈরি করে আনা। পিঠা উৎসবে অংশ নেওয়া প্রতিটি স্টল ঘুরে মূল্যায়ন পর্ব পরিচালনা করেন কলেজটির উপাধ্যক্ষ মো. সিরাজ উদ্দীন ভূঁইয়া, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবদুল হালিম ভূঁইয়া এবং পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম শিউলী।
মূল্যায়ন শেষে বিকেল ৩টার দিকে সেরা ৭টি স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়। স্টলগুলোর মধ্যে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে দর্শন বিভাগ, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ও রেঞ্জার। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে রসায়ন বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
জানতে চাইলে কলেজটির অধ্যক্ষ মোশতাক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আবহমান কাল ধরে চিরন্তন ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বাঙালির ঘরে ঘরে নানা ধরণের পিঠা-পুলি তৈরি হয়ে আসছে। সুষ্ঠু সংস্কৃতির বিকাশ ও আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়তে আমরা কলেজ প্রাঙ্গনে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ততা আমাদের মুগ্ধ করেছে।
সময় জার্নাল/এলআর