সময় জার্নাল প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘হাওর অঞ্চলের বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’র আয়োজনে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আঠারবেকী ফাইল্লা বিল ব্যবহারকারী সংগঠন (বিইউজি) সদস্যদের মাঝে ১৪২৯ বাংলা সনের মৎস্য আহরণের লভ্যাংশ বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিকলীর সিংপুরের কাশিপুরে বিইউজি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিকলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামসুল হক রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা পারভিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতিলতা বর্মণ, এলজিইডি’র উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মমতাজ উদ্দিন, জাইকা’র নলেজ এক্সপার্ট আকি সান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক আয়াজ, সিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল। এ ছাড়াও কো-টিম লিডার আহসান হাবীব উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির সিএনআর মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা সমন্বয়কারী অফিসার শহীদুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিষ রওয়াজাসহ বিল ব্যবহারকারী সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪২৯ বাংলা সনে মোট মাছ ধরা পড়ে ৭ হাজার ৮৩৯ কেজি, যার বিক্রয়মূল্য ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ১১২ টাকা। গত ৬ বছরে মোট মৎস্য আহরণ হয় ৫৩ হাজার ৫৪৯ কেজি, যার বিক্রয়মূল্য ৯২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮২ টাকা। গত ৫ বছরে ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯শ’ টাকা লভ্যাংশ বিতরণ করা হয় এবং ৬ বছরে ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৪শ’ টাকা মজুরী প্রদান করা হয়।
সংগঠনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বিইউজি সদস্যরা জানান, সমগ্র বিলে স্থায়ী হিজল করচ বনায়ন করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্রামকে ঢেউ থেকে রক্ষায় কাজ করা হবে। বিইউজি’কে সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে মৎস্য সমবায় সমিতি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করানো হবে। শিশুদের জন্য ভাল মানের স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং স্থায়ী গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা। বিইউজি সদস্যসহ গ্রামবাসির দাবি বিলের বাকি অংশ খনন করে গ্রামের দক্ষিণ পাশ ভরাট করে দিলে আরও অন্তত ১৫০ পরিবার তাদের স্থায়ী ঠিকানা পাবে।
সময় জার্নাল/এসএ