আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তারা অসুস্থ হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। রাজ্যে করোনা, হাম, রুবেলার পর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ।
গত জানুয়ারি মাসে প্রায় ৬০০ শিশুর শারীরিক নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। তাতে ৩২ শতাংশ শিশুর শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। কলকাতার সব শিশু হাসপাতালেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেখঅনে আইসিইউতে ভর্তি অধিকাংশ রোগীর বয়স এক থেকে দুই বছর।
এমন পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের। তড়িঘড়ি করে সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলোর অধ্যক্ষ এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় দ্রুত সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব। হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণের অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সাধারণত করোনাভাইরাসের মতোই নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে অ্যাডিনো ভাইরাস। তাই এর সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রেখে চলাসহ একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর।
শিশুদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যেও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। যেমন- ভিড় এড়িয়ে চলা, বাস-ট্রেনসহ অন্যান্য গণপরিবহনে শিশুদের মাস্ক পরানো প্রভৃতি।
তবে শুধু শিশুরাই নয়, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করাও। জানা গেছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেক আমরি হাসপাতালে মোট ১১৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্দি-কাশি হলে হালকাভাবে না নিয়ে, চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। করোনাবিধির মতোই মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। এর পাশাপাশি, শিশুদের ভিড়ের মধ্য়ে না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের প্রধান উপসর্গ হলো জ্বর, সর্দি, কাশি এবং মাথা ব্যাথা। কারও এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।
সময় জার্নাল/এলআর