সময় জার্নাল প্রতিবেদক, ঢাকা : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার চলামান লকডাউনের মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। নতুন এ বিধিনিষেধে কিছু শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তবে ঈদের আগে তিনটি কর্ম দিবস থাকায় কিছুটা শিথিল করে ফের লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। পাশপাশি সীমিত পরিসরে গণপরিবহণ চলাচলের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে দোকানপাট ও মার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস থাকলে কিছুটা শিথিল করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
জানা গেছে, আগামী ৫ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ রয়েছে। এই লকডাউনের পরবর্তী মাত্র তিন দিন কর্মদিবস রয়েছে। বৃহস্পতিবার ৬ মে প্রথম কর্মদিবস। এরপর ৭ ও ৮ মে শুক্র-শনিবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। ৯ মে রোববার এক দিন কর্মদিবস থাকলেও পরেরদিন ১০ মে সোমবার শবে কদরের ছুটি। এর পরদিন ১১ মে মঙ্গলবার কর্মদিবস হলেও ১২ মে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। সে হিসেবে ঈদের আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে মাত্র তিন দিন।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে বিধিনিষেধের সময় বাড়বে কিনা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নামপ্রকাশ না করে বলেন, ঈদের আগে তিনটি কর্মদিবস থাকায় লকডাউন তুলে দেয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে ১৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়তে পারে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হতে পারে।
সময় জার্নাল/এসএ