স্পোর্টর্স ডেস্ক:
ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর শ্রীলঙ্কার মতো বড় ও সুপ্রতিষ্ঠিত দলের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে সিরিজ বিজয়ের কৃতিত্ব আছে বাংলাদেশের। কিন্তু এই তালিকায় নাম নেই দুটি বড় দলের। যার একটি অস্ট্রেলিয়া, অন্যটি ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপ ও আন্তর্জাতিক আসরে দেখা হলেও অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ খেলে না এক যুগ। সেই ২০১১ সালের এপ্রিলে দেশের মাটিতে অসিদের বিপক্ষে শেষবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে টাইগাররা।
ইংলিশদের বিপক্ষেও যে হরহামেশাই খেলছে, এমন নয়। বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে প্রায় ৭ বছর আগে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সে সিরিজে লড়াই করে ২-১‘এ হেরেছিল মাশরাফির বাংলাদেশ।
এবার মাশরাফি নেই। আরও একবার ইংলিশদের সাথে একদিনের সিরিজ। বুধবার শেরে বাংলায় তিন ম্যাচের প্রথম ওয়ানডে। যারা মাঠে গিয়ে এবং টিভিতে খেলা দেখার প্রস্তুতি নিয়েছেন, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, খেলা শুরুর সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। ম্যাচ শুরু হবে বেলা ১২টায়।
ইতিহাস জানাচ্ছে, দেশের মাটিতে ২০১৬ সালে শেষ সিরিজে ইংল্যান্ডের সাথে প্রায় সমানতালে লড়াই করে হেরেছিল বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচে ২১ রানে হার মানা মাশরাফির দল দ্বিতীয় খেলায় ৩৪ রানে জিতে সমতা ফিরিয়ে এনেছিল।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ড লেগস্পিনার আদিল রশিদের জাদুকরি স্পিনে (৪/৪৩) ৪ উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ।
বলে রাখা ভালো তার আগের বছর মানে ২০১৫ সালে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় হাতছাড়া হয়ে যায়। এবার তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কি পারবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জিততে?
এমআই