স্পোর্টস ডেস্ক:
গত বেশ কয়েকবারের তুলনায় এবার চিত্রটা একটু ভিন্ন। ঘরের মাঠে সিরিজ জয়টাকে, বিশেষ করে ওয়ানডেতে, বাংলাদেশ নিয়মে পরিণত করে ফেলেছে। গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষেও রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে ঢাকায় ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করার পর শেষ ম্যাচটি খেলতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলো টাইগাররা।
এবার সে চিত্র বদলে গেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। ব্যাটিং-বোলিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতা দেখিয়ে ঢাকায় প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ পরাজয় ঘটেছে টাইগারদের। শেষ ম্যাচটি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ খেলতে গেলো এখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে।
আগে যেখানে প্রতিপক্ষ দলগুলো চট্টগ্রাম যেতো হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে, এবার বাংলাদেশই বন্দর নগরীতে গেলো সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে। আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।
প্রথম ম্যাচে ২১০ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রায় জিতে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ডেভিড মালানের অনবদ্য সেঞ্চুরিই শেষ পর্যন্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জয় এনে দিলো। জয় বঞ্চিত থাকলো বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে বোলিংয়ে কাঙ্খিত সাফল্য তুলতে পারেননি তামিম ইকবাল। যার ফলে জেসন রয়ের সেঞ্চুরি এবং বাটলারের ৭৬ রানের ওপর ভর করে ৩২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের সামনে দাঁড় করায় ইংলিশরা। জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিলো ১৯৪ রানে। টাইগারদের পরাজয় ১৩২ রানের বড় ব্যবধানে।
এমন পরিস্থিতিতে এখন শেষ ম্যাচটি তামিম ইকবালের দলের জন্য লজ্জা এড়ানোর ম্যাচ। যে দলটি ঘরের মাঠে ভারতের মত শক্তিশালী দলকে সিরিজ হারাতে পারে, যে দলটি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে স্বাগতিকদের হারিয়ে সিরিজ জয় করে আনতে পারে, সেই দলটি ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হবে, তা মেনে নেয়ার মত নয়।
সুতরাং তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা কী পারবেন লজ্জা এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশকে জয় এনে দিতে? বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কী পারবে আগামী বিশ্বকাপের জন্য একটুখানি আত্মবিশ্বাস সংগ্রহ করতে?
এমআই