শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

এলডিসি সুবিধা মিলবে ২০২৯ পর্যন্ত

শুক্রবার, মার্চ ১৭, ২০২৩
এলডিসি সুবিধা মিলবে ২০২৯ পর্যন্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০৩০ সাল নাগাদ রপ্তানির পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এরমধ্যে শুধু পোশাক রপ্তানি হবে ১১ বিলিয়ন ডলারের। যুক্তরাজ্যের সম্প্রতি ঘোষিত ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিটিসিএস)-এর আওতায় বাংলাদেশের এলডিসি সুবিধা ২০২৯ এর নভেম্বর পর্যন্ত নিশ্চিত হবে। এলডিসি সুবিধার আওতায় ডিউটি-ফ্রি সুবিধাও মিলবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং যুক্তরাজ্য সরকারের এফসিডিও (ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস) ‘এক্সপান্ডিং অ্যান্ড ডাইভার্সিফায়িং এক্সপোর্ট টু দ্য ইউকে মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফসিডিও’র ডেপুটি ডিরেক্টর ড. ডানকান ওভারফিল্ড, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফয়জুল ইসলাম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিড-এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনার পর প্যানেল আলোচনায় চামড়া এবং জুতা শিল্প, কৃষিজাত এবং কৃষিজাত প্রসেসড খাদ্য, মাছ এবং চিংড়ি ও হালকা প্রকৌশল শিল্পের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ডিসিটিএস যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকে এলডিসি উত্তরণ হওয়ার পরও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করবে। এই সুবিধা একই সঙ্গে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের জন্য পোশাক খাত ছাড়াও অন্যান্য খাতগুলোর প্রচারের জন্য একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে। বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের ডিসিটিএস সুবিধা নিতে এবং তাদের রপ্তানি পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করতে সহায়তা করার জন্য র্যাপিড গবেষণা এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কনসালটেশনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে বেশ কিছু পলিসি রিকমেন্ডেশন চিহ্নিত করতে পেরেছে র্যাপিড। এরমধ্যে প্রথম এবং সবচেয়ে অপরিহার্য বিষয় হলো, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পোশাক খাতের বাইরের রপ্তানিকারকদের মাঝে মূল স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা যুক্তরাজ্যের বাজারের তথ্যের প্রচার ও প্রসার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এএইচএম আহসান তার বক্তৃতায় বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফয়জুল ইসলাম উল্লেখ করেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় সংস্থাকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। উচ্চ আমদানিশুল্ক ভোক্তা এবং উৎপাদক উভয়কেই নিরুৎসাহিত করে। তাই সরকার ট্যারিফ র্যানশনালিজেশনে কাজ করছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের রপ্তানিকারকরা ইইউ জিএসপি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ডিসিটিএস সম্পর্কে খুব কম জানেন। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে তারা এটি থেকে সুবিধা নিতে পারে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশের শুল্কের হার কমাতে হবে। তাই আমাদের রপ্তানিকারকদের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল