মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জামালপুর সদর উপজেলার ঝাওলা গোপালপুর উচ্চবিদ্যালের মাঠে বিশাল এক জনসভার মধ্য দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জনসভায় উপস্থিত তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সমর্থন ও দোয়া চান তিনি।
একজন কর্মী-বান্ধব, নিরলস পরিশ্রমী, দক্ষ সংগঠক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার জামালপুর সদর আসনে তিনি একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। সেই হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সবার দোয়া ও সমর্থন চান।
রোববার বিকেলে জামালপুর সদরের ঝাওলা গোপালপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল জিয়া। মুক্তিযোদ্ধারা যে স্লোগান ধরে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই সেই জয়বাংলা স্লোগানকে নিষিদ্ধ করেছিল। তার সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্মান ছিল না। বঙ্গবন্দুর ঘাতক আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশে নিরাপদে পালানোর ব্যবস্থা করেছিল জিয়া। বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈবে শার্ট পরে স্কুলে যেতেন। আর বাড়িতে ফিরেন খালি গায়ে। মা জানতে চাইলে বলতেন আমার শার্টটা এক গরিব বন্ধুকে দিয়ে দিয়েছি। শিশু শেখ মুজিবের এরকম অসংখ্য মানবিক গুণাবলী দেখে সবাই বলতেন তিনি কোন স্বাভাবিক মানুষ নন। তিনি ঐশ^রিক দান হিসাবে আমাদের কাছে এসছেন। তাই নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনেও এই সদর আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যিনিই হোক না কেন তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী জনসভায় বলেন,‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীর মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ফলে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁদের সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একই সঙ্গে আজকের জনসভায় উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া চাই। আপনারা আমার জন্যে দোয়া করবেন। আমি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে এই সদরবাসীর সঙ্গে ছিলাম। একই সঙ্গে আজকের দিন পর্যন্ত সবার সুখে-দুঃখে আছি। বিভিন্ন সময় আন্দোলনে জেল-জুলুম-হুলিয়ার মধ্যেও আপনাদের পাশে ছিলাম। আমি আজও আছি, আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থাকতে চাই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, আমি প্রার্থী হিসেবে আপনাদের কাছে দোয়া ও সমর্থন চাই। যাঁতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেন। সেই জন্যে আমি সদরবাসীর কাছে দোয়া চাই। আপনারা দোয়া করলে এবং পাশে থাকলেই জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবে।’
জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা.এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক ছাত্রলীগনেত্রী মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা। পরে সন্ধ্যার পর জনসভামঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী মমতাজ বেগম এমপি।
সময় জার্নাল/এলআর