জীবন হক, ঠাকুরগাঁও: জীবনে চলার পথে প্রতিনিয়ত আমরা অনেক হাসি- কান্না পরিলক্ষিত করি। কিছু কান্না আমাদেরও কাঁদায়। তেমনি কিছু হাসি মন ছুয়ে যায়। মনে হয় এটাই যেন পূর্ণতা পাওয়া এক তৃপ্তির হাসি।
ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের মুন্সিরহাটের এক কিশোরী মলি (১৪)। সে জন্ম থেকেই বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। পিতা দুলাল দিনমজুর। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই মলির মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এই সময়টা সারাদিন মেয়েটি বাড়িতে মাটিতে বসে থাকে।
শনিবার বিকেলে এক মানবিক ব্যক্তি সেই প্রতিবন্ধী মলির জন্যে একটি হুইল চেয়ার কিনে পাঠান। সেই একটি হুইল চেয়ার পেয়ে মেয়েটির মুখে ফুটে উঠে পূর্ণতা পাওয়া চমৎকার এক হাসি। এই পাওয়ার মাধ্যমে যেনো মেয়েটির সব রাগ অভিমান হারিয়ে গেছে। পৃথিবীর সামর্থ্যবান মানুষেরা প্রচুর পেয়েও যেখানে অতৃপ্ত, সেখানে এই অল্পেই যেন প্রতিবন্ধী মলি সম্পুর্ন সন্তুষ্ট।
প্রতিবেশী তাজিম মুন জানান, সবসময় এভাবে মাটিতে বসে থাকতে দেখতাম মেয়েটি কে। বিষয়টি আমি এক বড়ভাই মাহাবুব আলম সোহাগ কে জানাই। তার(সোহাগ) মাধ্যমে একটি হুইল চেয়ার মেয়েটির জন্যে পাঠানো হলে আমরা পৌঁছে দেই।
জেলায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এতিমখানাসহ অসহায়দের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা মাহাবুব আলম সোহাগ জানান, সামান্য একটা হুইল চেয়ার দিয়ে মেয়েটির এত সুন্দর একটি হাসি উপহার পাওয়া যাবে ভাবতে পারিনি। তার হাসিটা হৃদয় ছুঁয়ে দিয়েছে আমরা। আমার মাধ্যমে অনেকের কাছে সাহায্য পৌঁছেছে। তবে এমন তৃপ্তির হাসি দেখিনি কারও মুখে। রমজানে বিভিন্নভাবে প্রায় লাখ টাকার পণ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে অনেককে। কারও আচরণ ছিল এমন যে, তিনি তার পাওনা সম্পত্তি বুঝে নিচ্ছেন। একমাত্র এই মেয়েটি প্রকৃত খুশিটা প্রকাশ করেছে। সেটা দেখে আমার কাজের আগ্রহ বেড়েছে ও ক্লান্তি দূর হয়েছে।
সময় জার্নাল/আরইউ