সৌরভ শুভ, জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফার্মেসী বিভাগের উদ্যোগে 'Prevention of Misinformation and Social Inoculation' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) ফার্মেসী বিভাগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও ঢাকা অফিসের ইনচার্জ ড. সুজান ভাইজ।
ভুল ও বিকৃত তথ্য কিভাবে ব্যক্তি ও সমাজ পর্যায়ে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে তা বিভিন্ন সমসাময়িক ও বাস্তবভিত্তিক উদাহরণের সাহায্যে ফুটিয়ে তুলেন ড. সুজান। পাশাপাশি, এ ধরনের বিকৃত তথ্যের সৃষ্টি ও বিস্তার এবং কিভাবে তা চিহ্নিত করা যেতে পারে তার উপর আলোকপাত করেন।
এছাড়া, সভায় ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. সাকিবা ইয়াসমিন বিকৃত তথ্য ঘটিত ক্ষতির হাত থেকে সমাজকে কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায় সেবিষয়ে আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন দেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়নে ইউনেস্কো যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে তার প্রশংসা করেন। দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে যেসব প্রধাণ বাধা রয়েছে তার উপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেন। তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য বিভিন্ন ডাটাবেস থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যোগানের ক্ষেত্রে আর্থিক সীমাবদ্ধতা নিরসনে ইউনেস্কোর সহযোগিতা কামনা করেন। ড. সুজানের আগমনের মধ্য দিয়ে ফার্মেসী বিভাগে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে সহযোগিতার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এ সময় দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের উপর জোর দিয়ে ড. সুজান তাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত কর্মসূচির আওতায় সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে ড. সুজান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মো. মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক ড. সাকিবা ইয়াসমিন।
প্রসঙ্গত, ড. সুজান গত প্রায় ১৬ বছর ধরে ইউনেস্কোর হয়ে কাজ করছেন। ২০০৬ সালে সামোয়ায় সোস্যাল এন্ড হিউম্যান সায়েন্সেস প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে ইউনেস্কোতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিসের ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, তথ্য এবং সোস্যাল এন্ড হিউম্যান সায়েন্স প্রোগ্রামের আওতায় ইউনেস্কো ম্যান্ডেটের চার্জে রয়েছেন। এর আগে তিনি ইউনেস্কোর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রিজিওনাল সোস্যাল এন্ড হিউম্যান সায়েন্সেস অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এমআই