লাইফস্টাইল ডেস্ক:
রমজান মাস মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। রোজার একটি অপরিহার্য অংশ হলো ইফতার। এটি রোজাদারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। ইফতারের মাধ্যমে একটি রোজা সম্পন্ন হয়। মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে ইফতার একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের খাবারের ঝাকঝমকপূর্ণ আয়োজন করা হয় ইফতারে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে এই আয়োজনে খাবারে ভিন্নতা থাকে।
বিভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্ন বাহারি খাবার দিয়ে ইফতার করে থাকেন। আবার একই দেশে অঞ্চলভেদে খাবারের পার্থক্য দেখা যায়। তবে সাধারণভাবে ইফতারে সব দেশেই খেজুর, ফল, শরবত, পানি ইত্যাদি বেশ প্রচলিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ঐতিহ্যগত স্থানীয় খাবার।
বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান দেশ ইরানে ইফতারের এই আয়োজন বেশ ভিন্নতা রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে খেজুর সঙ্গে এক কাপ চা দিয়ে ইফতার করে থাকেন ইরানিরা। তাদের আয়োজনে আর কী কী থাকে এনিয়ে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে। চলুন জেনে নিই ইরানিরা ইফতারে কী খায়।
ইফতারে ইরানিরা ঐতিহ্যগতভাবে খেজুর সঙ্গে এক কাপ চা অথবা গরম পানি পান করেন। তারা নানা ধরনের ফলমূল, পানীয় ও মিষ্টান্ন দিয়ে ইফতার করে থাকেন।
ইফতারিতে সবসময় টমেটো, শসা, লেটুসপাতার সালাদ এবং পুদিনা ও ধনিয়া পাতাসহ নানা রকমের সুগন্ধযুক্ত পাতা থাকেই।
ফলের মধ্যে থাকে খেজুর, আপেল, চেরি, তরমুজ আখরোট, তলেবি বা এক ধরনের বাঙ্গি, কলা, আঙ্গুর ইত্যাদি। এছাড়া, মধু, রুটি, পনির, দুধ, পানি, চা উল্লেখযোগ্য।
মিষ্টির তালিকায় থাকে জুলবিয়া ও বামিহ নামের ২টি ঐতিহ্যবাহী পার্সিয়ান মিষ্টি, যা চিনির শিরাতে ডোবানো থাকে।
ইরানের এক বিশেষ ধরনের স্যুপ ইফতারে বেশ প্রচলিত। ‘অ্যাশ রেশতেহ’ নামে এই স্যুপে থাকে চিকন নুডলস, দুগ্ধজাত মাঠার মতো জলীয় দ্রবণ এবং সঙ্গে পার্সলে, পালং, পেঁয়াজের মতো অন্যান্য উপাদান।
ইরানি ইফতারের অন্যতম জনপ্রিয় একটি উপাদান বুটের ডাল ও মাংস সহযোগে তৈরি শামি কাবাব।
এছাড়াও থাকে এক ধরনের জিলাপি ও হালিম। এগুলোর স্বাদ বাংলাদেশের জিলাপি ও হালিমের মতো নয়। আরও থাকে ছোট চাল, চিনি এবং জাফরান দিয়ে এক ধরনের ক্ষীর বা পায়েস তৈরি করা হয়, যার ইরানি নাম ‘শোলে জার্দ’।
এমআই