খাদিজা খানম, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের "কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২১"-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে ২য় কার্যনির্বাহীর নিকট আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর এবং ১ম কমিটিকে বিদায় জানানো হয়।
পহেলা মার্চ (সোমবার) রাত ৮.৩০ মিনিটে অনলাইন জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: দিদার-উল-আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন "চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন, নোবিপ্রবি"- এর প্রধান উপদেষ্টা ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ। এছাড়াও নোবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশনের সদস্যরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য দিদার-উল-আলম সংগঠনটির নিয়মিত কার্যক্রমের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, "ক্যাম্পাসের অন্যান্য প্রচলিত সংগঠন থেকে এটি একটু ব্যতিক্রম ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই পর্যায়ে এসে নিজেদের ক্যারিয়ারের বাহিরে গিয়ে সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা খুবই ভালো কাজ"।
এসময় তিনি নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের এভাবেই দেশ ও জাতির সহায়তায় সামনে থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, "এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেক ভালো কাজ উপহার দিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা এমন মহৎ কাজে ব্যয় করার মাধ্যমে সংগঠনটি ভবিষ্যৎ এ আরো ভালো কাজ উপহার দিবে বলে আশা করছি"।
সংগঠনটির উপদেষ্টা ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড ফিরোজ আহমেদ বলেন, "সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু থেকেই আমাদের মুগ্ধ করেছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকুক"।
এছাড়াও সংগঠনের কার্যক্রমের প্রশংসা এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে বক্তব্য প্রদান করেছেন আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.দিদার উল আলমকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.ফিরোজ আহমেদকে উপদেষ্টা করে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক সচেতনতা, বঞ্চিত শিশু, দুর্যোগ মোকাবেলা ও পরিবেশ এই ছয়টি বিষয়ে কাজ করে আসছে। নিয়মিত তারা দূর-দূরান্তে গিয়ে অসুস্থ রোগীকে রক্তদান করে এক মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এছাড়া নোয়াখালীর বিভিন্ন অনগ্রসর এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দূর করার জন্য ক্লাস নিয়ে সহযোগিতা করে আসছে তারা। এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন স্থানে শীতার্তদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ সহ নানা ধরণের স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে সংগঠনটি।
সময়জার্নাল/খাদিজা/ই.এইচ