খালেদ হোসেন টাপু, রামু:
পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে কাজুবাদাম, কফি বাগান, সোনাইছড়ির নিসর্গ এগ্রো ফার্ম পরিদর্শন করেছেন কৃষি মন্ত্ৰী ড.মো.আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় একটি বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে রামু রাবার বাগান সংলগ্ন হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন দুই মন্ত্রী। সেখান সড়ক পথে প্রথমে তারা নাইক্ষ্যংছড়ি রেষ্ট হাউজে যান। এরপর বেলা ১২ দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কাজুবাদাম, কফি বাগান, সোনাইছড়ির নিসর্গ এগ্রো ফার্ম পরিদর্শন শেষে নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজ মিলনায়তনে চাষিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্ৰী ড.মো.আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, ৯ আসনের নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরে উপস্থিত ছিলেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল মো: রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ, ইউএনও রোমেন শর্মা,জেলা পরিষদের সদস্য ক্যানুওয়ান চাক, উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি আবু তাহের কোম্পানি, সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা,বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন, কাজুবাদাম ও কফি চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজুবাদাম ও কফির বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও অনেক বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এসব ফসল চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক।
এছাড়া আনারস, আম, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষেও সম্ভাবনা প্রচুর। এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একই সঙ্গে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।
এমআই