ইয়াছিন মোল্লা: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভাটিবন্দর মিফতাহুল উলূম মাদ্রাসা নামে একটি কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দ্বীনি এই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ছাত্রের সংখ্যা সর্বোমোট ৪০০ জন এর মধ্যে ৩৫ জন রয়েছে এতিম যাদের পুরো খরচ বহন করা হয় প্রতিষ্ঠান থেকে। কিতাব বিভাগের হিসাবে মাদ্রাসাটি বর্তমানে মেশকাত জামায়াত পর্যন্ত চালু রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে হিফজ এবং নূরানী বিভাগ পাশাপাশি রয়েছে একটি এতিমখানা। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে অত্র দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, শতভাগ পাশের হার নিয়ে রেজাল্ট বিবেচনায় আঞ্চলিক বোর্ডে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মাদ্রাসাটি। উল্লেখ্য এবারে সোনারগাঁ আঞ্চলিক বোর্ডে অধীনে মোট ৪৫ টি মাদ্রাসা আঞ্চলিক বোর্ড পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেন। এর মধ্যে ভাটিবন্দর মিফতাহুল উলূম মাদ্রাসা ছিল একটি।
মাদ্রাসাটির ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায় মাদ্রাসাটির মীযান মারহালায় মোট ২২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তন্মধ্যে মেধাতালিকা (সিরিয়াল) পেয়েছে ৫জন, মুমতায (A+) পেয়েছে ১১ জন, জায়্যিদ জিদ্দান (১ম বিভাগ) পেয়েছে ৬জন।
নাযেরা বিভাগে মেধাতালিকা (সিরিয়াল) পেয়েছে ৮ জন, মুমতায পেয়েছে ৯জন এবং হিফজ বিভাগে সিরয়াল পেয়েছে ১জন, মুমতায পেয়েছে ৩ জন। সর্বমোট মেধাতালিকা ১৪ জন মুমতায ২৩ জন।
এই বিষয়ে মাদ্রাসাটির পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ রফিকী বলেন, আজকের এই রেজাল্টের পিছনে রয়েছে মাদ্রাসার ছাত্র উস্তাদদের বিশাল মেহনত। প্রতি বছরই আমাদের মাদ্রাসার ছাত্ররা আঞ্চলিক বোর্ড এবং বেফাকে ভালো রেজাল্ট করে থাকে। আশা করি সামনের বছরগুলোতেও এর ব্যতিক্রম হবে না। আমরা আমাদের ছাত্রদের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করি, বাকিটা তাদের মেহনত । এছাড়াও আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকেও তারা সবাই মাদ্রাসার বিষয়ে সবসময় খোঁজখবর রাখেন বলেই আমাদের ছাত্ররা ভালো করেছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতেও তাদের খোঁজ খবর রাখার দ্বারা অব্যাহত থাকবে। আপনার দোয়া করবেন ভাটিবন্দর মাদ্রাসার ছাত্র, ওস্তাদ, এবং এর সাথে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের যেনো আল্লাহ কবুল করে।
এমআই