মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল-২০২৩) পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও দিনাজপুর বৈশাখী উৎসব পরিষদের সহযোগিতায় একাডেমী স্কুল মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান প্রদক্ষিণ করে শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ও জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
শোভাযাত্রা শেষে শিশু একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব মোরার্জি দেশাই বর্মন, দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবাশীষ চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নুল আবেদীন, দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ মমিনুল করিম, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, ডিডি এলজি মোঃ মোখলেছুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুন বেগম লাবুন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার সভাপতি সুলতান কামাল উদ্দীন বাচ্চু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক হারুন উর রশীদ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, পহেলা বৈশাখ মানেই সার্বজনীন এক উৎসবের নাম। অভূতপূর্ব সাংস্কৃতিক জাগরণের দিন পহেলা বৈশাখ। পুরনো দিনের শোক-তাপ-বেদনা-অপ্রাপ্তি-আক্ষেপ ভূলে অপার সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণার দিন। বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে বৈশাখের উৎসব উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তাঁর মুখচ্ছবি দেখতে পায়।
তিনি বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা এখনও তৎপর। তারা বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করা যায়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে তারা থামিয়ে দিতে চায়। তাদের প্রতিহত করতে নতুন প্রজন্মকে বাঙালির চেতনা শেখাতে হবে। বাঙালিয়ানাকে জাগ্রত রেখেই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের চেতনাকে সানিত করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মান করতে হবে।
হুইপ আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষা ও বাংলার সং®কৃতিকে প্রতিষ্ঠিত করতেই স্বাধীনতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার জন্য যৌবনের চৌদ্দটি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। দু’বার ফাঁসির মঞ্চে গেছেন। সেই স্বাধীন বাংলাদেশের বাঙ্গালী জাতি পৃথিবীর বুকে আজ মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বাঙ্গালী জাতির এই প্রাণের উৎসবকে আরও প্রাণানান্তর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা নববর্ষে উৎসব ভাতা প্রদান করেছেন।
সময় জার্নাল/এলআর