আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করার পর পুরো পাকিস্তান উত্তাল হয়ে ওঠেছে। সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পিটিআইয়ের অন্তত এক কর্মী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে ইমরান খানকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি জামিন নিতে আদালতে যাচ্ছিলেন। এরপরই পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
কোয়েটা বিমানবন্দর রোডে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের সময় পিটিআইয়ের এক কর্মী নিহত হয়। পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, পিটিআইয়ের সমাবেশের ভেতরে কিছু একটা হয়েছিল। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পিটিআইয়ের বালুচিস্তান সভাপতি মুনির বালুচ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা প্রধান বিমানবন্দর চকে টায়ার জ্বালায়।
পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তী সরকার প্রদেশজুড়ে দু'দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসলামাবাদেও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে পুলিশ টুইটারে জানিয়েছে। ইমরান খানের গ্রেফতারের পর পেশোয়ারে ৩০ দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে লাহোরে কোর কমান্ডারের বাড়ির সামনে বিপুল সংখ্যক পিটিআই কর্মী বিক্ষোভ করেছে। তারা সেখানে পুলিশের সাথেও সংঘর্ষ চালায়। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এখনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পেশোয়ারে পিটিআই সমর্থকেরা ফ্রন্টিয়ার কোরের সদরদফতরের বাইরে বিক্ষোভ করছে। গুজরানওয়ালা, সিয়ালকোট ও মুলতানেও পিটিআই কর্মীরা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাইরে বিক্ষোভ করেছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে বিপুলসংখ্যক পিটিআই কর্মী জেনারেল হেডকোয়ার্টারের দিকে মিছিল করে। তারা সেখানে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। তারা জিএইচকিউয়ের ফটকে পাথর নিক্ষেপ করে। অনেকে ভেতরেও প্রবেশ করার চেষ্টা করে।
সময় জার্নাল/এলআর