গাছ কাটা, নদী দখল, পানি দূষণ ও খাদ্যে ভেজাল নিয়ে আমি প্রতিবাদ করি না। করতে আগ্রহী না। আমি কেবল প্রশ্ন করতে চাই, যারা তা এগুলো করে তারা কারা? আমরা তাদের চিনি!
আমি যদি দেশের হয়ে প্রতিবাদ করি,
তাহলে যে অন্যায় কাজ করছে তার দেশ কোনটা, এই কাজের পরিকল্পনা কে দিয়েছে, কার আনুকূল্য পেয়ে কাজ এগিয়ে যায়? তারা কী এই দেশের নাগরিক।
দেশের নাগরিক হলে দিনের পর দিন, এইরকম আকাজ করে যাবে আমরা প্রতিবাদ করব? আমাদের কী আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই। এগুলো দেখার, তদারকি করার সরকারি দপ্তর নেই। তারা কী দেশের উন্নয়ন এইভাবে করে যাবে। দায় দায়িত্ব জবাবদিহি করতে হয় না। একটা রাষ্ট্রের কত বছর হলে যার যা কাজ তাই স্বচ্ছতা নিয়ে করে যাবে!
সারাদুনিয়া অক্সিজেন নিয়ে আছে আতংকে। সে সময় আমরা কখনো জাহাঙ্গীরনগর, আবার কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলে সবুজায়ন নষ্টের উতসবে মেতে উঠছি। এসব নিয়ে কে ভাবে? কোন শ্রমিক অন্যায় কাজের পরিকল্পনা করতে পারে না, দেশ অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষ চালায় না। এইসব করেই কথিত শিক্ষিত রাষ্ট্র, শিক্ষক ও এক কালের শিক্ষার্থী। তারা কী আমাদের কারো কারো পরিচিত? তাদের পরিবার এই দেশে থাকে! বহুমাত্রিক আপসোস...
করোনায় এতো দ্রুত মারা যাচ্ছে মানুষ। কাউকে কী ভাবিয়ে তুলছে না জীবন অনেক ছোট। তারা ত অনেকে দেশ-বিদেশ ঘুরেন। নিশ্চয় জানেন কিসে ভালো, কিসে মন্দ। তাহলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে বিবেকে বাঁধে না!
আসলে আমরা রোবট। মানুষ হত্যার মামলা হয় না দেখে, মানুষের প্রতি অন্যায়ের বিচার পায় না বলে পরিবেশের অন্যায় কাউকে ভাবায় না। আসুন যত্রতত্র গাছ কাটি, পাহাড়-নদী-খাল সব দখল করি। যার যেমন লুটেপুটে খাই। সময় হলে মরে যাই।
এই রাষ্ট্র দেশ কারো না। রাষ্ট্রপতির মতো অসহায় দেশ মা মাটি মানুষ। চলছে ঘরে বাহিরে হাহাকার...
লেখক : কবি ও গবেষক।