বিনোদন ডেস্ক:
মাদক ব্যবহারের অভিযোগে ধৃত শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের নাম চার্জাশিটে একদম শেষে ঢোকানো হয় সুপারস্টার তার পুত্রের মুক্তির জন্যে তদন্তকারী অফিসার সমীর ওক্ষেদেকে পঁচিশ কোটি টাকা দিতে অস্বীকৃত হওয়ায়। নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো তাদের স্বাধীন তদন্তে এই কথা জানিয়েছে।
তারা বলেছে শেষ মুহূর্তে মুনমুন ধামেচা এবং সৌম্য সিং নামে দুই মডেল এর নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে আরিয়ান ও তার বন্ধু আরবাজ মারচান্ট এর নাম ঢোকানো হয়। মাদক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরিয়ান মুম্বইয়ের অর্থর রোডের জেলে আটক ছিলেন বেশ কদিন।
পরবর্তী পর্বে তিনি জামিনে মুক্ত হন। শাহরুখ নিজে গাড়ি চালিয়ে তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসেন। সমীর ওয়ানখাদে শুধু এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন তাই নয়, তিনি ছিলেন মুম্বই এর নারকোটিক ব্যুরোর প্রধান। আরিয়ান খানের ব্যাপারটি জানাজানি হওয়ার পর এনসিবির চাকরি থেকে তিনি সাসপেন্ড হন এবং সিবিআই তদন্তের সামনে পড়েন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে মুম্বই শহরে তার চারটি ফ্ল্যাট আছে। বিলাসবহুল গাড়ি এবং সতেরো লক্ষ টাকা দামের একটি রোলেক্স ঘড়ি আছে। তিনি যে ফ্ল্যাটটিতে থাকেন তার বাজার মূল্য দু কোটি পয়তাল্লিশ লক্ষ রুপি।
জিজ্ঞাসাবাদে সমীর জানান, এই ফ্ল্যাটটি তিনি সাড়ে বিরাশি লক্ষ টাকায় কিনেছেন। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল এই চার বছরে সমীর সপরিবারে মোট পঞ্চান্ন দিন দক্ষিণ আফ্রিকা, পর্তুগাল, মালদ্বীপ প্রভৃতি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন। অথচ সমীর এবং তার স্ত্রীর বাৎসরিক আয় এত বেশি নয় যে তিনি এতবার বিদেশে বেড়াতে যাবেন।
ওয়াসিম এলাকায় তার বিশাল জমির মালিকানা কিভাবে এলো তার সদুত্তর দিতে পারেননি সমীর। সমীর ওয়ানখাদে অবশ্য এনসিবি তদন্ত সম্পর্কে বলেছেন, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।
সময় জার্নাল/এলআর