সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
'বি' ইউনিট তথা মানবিক শাখার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হলো ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। শনিবার (২০ মে) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে পরীক্ষাটি।
এ দিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত একঘন্টা ব্যাপী এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬৭৬৭ জন পরিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। যা মোট পরিক্ষার্থীর ৯৮.৭৮ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ৮৩ জন শিক্ষার্থী। 'বি' ইউনিট সমন্বয়কারী সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১২টায় পরীক্ষা শুরু হলেও সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করেন পরিক্ষার্থীরা। মেইনগেইট দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করার পর পরীক্ষা শুরুর আধা ঘন্টা আগে সারিবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করানো হয়।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, বি ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক, ছাত্র সংগঠনসমূহের অভিভাবক কর্ণার, বাইক সার্ভিস কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ঘুরে পরিদর্শন করেন তাঁরা।
পরিদর্শনকালে উপাচার্য বলেন, 'আমরা পরিদর্শনে গিয়েছি। সবকিছু সন্তোষজনক। আমাদের প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কোনও অভিযোগ পাইনি। সকলে যদি এভাবেই সহযোগিতা করেন তাহলে কোনও কাজই অসাধ্য থাকবে না। একইসাথে আগামীদিনের পরীক্ষা গুলোতেও সহযোগিতা কামনা করি।'
এদিকে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলো কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ ফোর্স। এর পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। এবং যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে মনিটরিংয়ে ছিলো ভ্রাম্যমান আদালত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'আজ গুচ্ছভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ইউনিটে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা, পুলিশ প্রশাসন এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত অন্যান্য যারা রয়েছেন,আমরা সকলেই সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। কোনো ধরনের কোনো অনিয়ম বা অসঙ্গতির অভিযোগ আমরা পাইনি। সকলের সহযোগিতায় পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিল বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটস গ্রুপের সদস্যরা। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনেতিক ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকেও গ্রহণ করা হয় বিভিন্ন উদ্যোগ। শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী ও রোটার্যাক্ট ক্লাবের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের বসার জন্য অভিভাবক কর্ণারের ব্যবস্থা করা হয়। পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানির বোতলও বিতরণ করেন তাঁরা।
এছাড়া বিলম্ব করে আসা শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষার হলে পোঁছাতে বর্তমান ছিলো ছাত্রলীগের 'জয় বাংলা বাইক সার্ভিস' ও ছাত্র ইউনিয়নের 'গেরিলা বাইক সার্ভিস'। অন্যদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অপেক্ষমান অভিভাবকদের মাঝে মহিলাদের স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন ( ক্যাপ) সংগঠনটি।
সময় জার্নাল/এলআর