সময় জার্নাল ডেস্ক:
প্রায় ১২ লাখ ভোটারের গাজীপুর সিটি করপোরেশন আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি। এই সিটির ভোট দিয়েই নির্বাচন কমিশনের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনকে অনেকে ইসি’র জন্য এসিড টেস্ট হিসেবে দেখছেন।
নির্বাচন কমিশনও বলেছে, সিটির ভোট সুষ্ঠু করে তারা পরীক্ষা দিতে চায়। যদিও গাজীপুরসহ অন্য সিটির ভোটে প্রধান বিরোধী জোট বিএনপি ও সমমনা দল অংশ নিচ্ছে না। এ কারণে ভোটের মাঠে বড় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলছে না।
দৃশ্যত বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলেও এ সিটির ভোট আসছে জাতীয় নির্বাচনের জন্য বড় বার্তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সিটির ভোটকে বিরোধী দলগুলোকে নতুন ইস্যু হিসেবে নিতে পারে। এ ছাড়া দেশে-বিদেশের দৃষ্টি রয়েছে এ নির্বাচনে।
কূটনীতিকরাও পর্যবেক্ষণ করবেন নির্বাচন। এমন অবস্থায় এ সিটির ভোট নির্বাচন কমিশনের জন্য এক অগ্নিপরীক্ষা।
গাজীপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লা খান প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। তার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের।
মাঠের পরিস্থিতি এখন অনেকটা গুমোট। নির্বাচন কমিশন চাইছে একটি সুষ্ঠু ভোট করতে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী মূল প্রার্থীর অভিযোগের শেষ নেই। প্রচার-প্রচারণায় বাধা, হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এখন দেখার বিষয় স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ভোট আয়োজন করতে পারে কিনা? ইতিমধ্যে ভোট নিয়ে নানারকম শঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা। তারা নির্ভয়ে ভোট দেয়ার নিশ্চয়তা চাইছেন।
সময় জার্নাল/এলআর