নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোটগ্রহণ হবে আর এক ঘণ্টা। শেষ মুহূর্তে ভোটারের প্রত্যাশা করলেও সে গুড়ে বালি। ফাঁকা ভোটকেন্দ্রে বসে ভোটারের অপেক্ষায় পোলিং এজেন্ট এবং নির্বাচনী কর্মকর্তারা৷
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেল তিনটায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। দুপুরের পর ভোটারের আনাগোনা বাড়তে পারে এমন প্রত্যাশা ছিল প্রার্থীদের।
তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও ভোটাররা আসেননি। যারা ভোটকেন্দ্রে এসেছেন তাদের সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। বিকেল তিনটা পর্যন্ত কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোট পড়েছে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ। কোনো কোনো কেন্দ্রের ভোটারের উপস্থিতি ছিল ২০ শতাংশেরও কম।
করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের মেধাবিকাশ আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের দুই হাজার ৪৩৭ জন নারী ভোটারের মধ্যে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৪৪৯টি। যা ওই কেন্দ্রের মোট ভোটের ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. শাহরিয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া গাজীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. রুবেল মিয়া জানান, ওই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৪৬৭ জন।
কেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন প্রতীক সম্বলিত প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে নেতাকর্মীরা অবস্থান করলেও ভোটারদের আনাগোনা ছিল একেবারেই কম।
৪৯ নং ওয়ার্ডের সিরিয়া হোসেন পাবলিক স্কুল কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২৩ শতাংশ। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করা আশরাফুল আলম জানান, দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই ভোট পড়েছে। কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৪৭৭।
এছাড়াও করপোরেশন এলাকার ১৫, ১৭, ৩৫ নং ওয়ার্ড ঘুরেও একই ধরণের তথ্য মিলেছে।
তবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রত্যাশা করছেন, শেষ ঘণ্টায় হয়তো কিছু ভোটার ভোট কেন্দ্রমুখী হবেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এক্ষেত্রে ভোট পড়ার হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে বলে প্রত্যাশা তাদের।
এমআই