নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন ভিসা নীতির বিষয়টি সামনে আসার পরদিন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠকে করলেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গুলশানে মার্কিন দূতের বাসভবনে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এ বৈঠকে শুরু হয়ে দুপুরের দিকে তা শেষ হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দলটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত; বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং জাতীয় পার্টি মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন। বুধবার (২৪ মে) এক বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ওয়াশিংটনের নতুন ভিসা নীতির অধীনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের এই ভিসা নীতি ঘোষণার পরদিন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন।
বৈঠকের পরে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি নেতারা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার পাশে রয়েছে বলে মনে করে সরকার।
এতে আরও বলা হয়, নিজেদের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকারের ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণ অনেক বেশি সচেতন। ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট কেড়ে নিয়ে কোনো সরকারের ক্ষমতায় থাকার নজির নেই। জনগণের ভোটের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা বলে মনে করে। আর এই অধিকারের জন্য নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক ইতিহাস তার রয়েছে।
এমআই