মো. মাইদুল ইসলাম: গৌরব ঐতিহ্যের ৫৩ বছরে পা দিয়েছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি তিতুমীর কলেজ। প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকা ক্যাম্পাসটি ১৯৬৮ সালের ৭ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী দিক থেকে এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই কলেজটি।
শুরুতে জিন্নাহ কলেজ নামে ১৯৬৮ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র-আন্দোলনকে নির্মূল করার জন্য মহাখালীতে অবস্থিত ডিআইটি খাদ্যগুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনে জগন্নাথ কলেজের ডিগ্রি শাখা স্থানান্তর করে জিন্নাহ কলেজ নামকরণ করেন।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান রেডিও-টেলিভিশনে এক ভাষণে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্থগিত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জিন্নাহ কলেজ শাখা ছাত্র সংসদের প্রথম সহ-সভাপতি (ভিপি) সিরাজউদ্দৌলার নেতৃত্বে টিপু মুনশি ও শাহাবুদ্দিনসহ তৎকালীন কতিপয় ছাত্রনেতা প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিন্নাহ্ কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। তখন আনিসুজ্জামান খোকন (জিন্নাহ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক) জিন্নাহ কলেজের নাম তিতুমীর কলেজ প্রস্তাব করেন।
২ মার্চ ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় জড়ো হলে সেখানে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রবের মধ্যস্থতায় জিন্নাহ কলেজের নাম তিতুমীর কলেজ হিসেবে চূড়ান্ত হয়। সেই থেকেই আজকের তিতুমীর কলেজ।
প্রতিষ্ঠার সময় কলেজটিতে শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ক্লাস নেয়া হতো। বর্তমানে এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। ২০১৭ সালে ১৬ ফেরুয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
বর্তমানে কলেজটিতে ২২ টি ডিপার্টমেন্টে সর্বমোট ৬০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী।
সহশিক্ষা কার্যক্রমে বেশ এগিয়ে কলেজটি। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ প্রতিভাকে বিকশিত করার জন্য রয়েছে রয়েছে তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি, বির্তক ক্লাব, নাট্যদল, শুদ্ধস্বর, আইটি ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, বিজনেস ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, আর্ট ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব, ক্লিন এন্ড গ্রীন ক্যাম্পাস, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, আদিবাসী সংগঠন ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধন।
সময় জার্নাল/এমআই