আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তপ্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। রোববার (২৮ মে) মণিপুরের বেশ কিছু জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সেখানের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৪০ বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, রাজ্যটিতে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তার জেরেই শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনা।
মণিপুরে গত কয়েক দিন ধরে কুকি ও মেইতেই জনজাতির মধ্য সংঘর্ষ চলছে। সে কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। এতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৭০ জন। গত ২৫ দিন ধরে সেখানে ইন্টারনেট সেবা নেই। বহু মানুষ ঘরছাড়া।
তবে রোববার ভোরের সংঘর্ষ এই দুই জনজাতির মধ্যে হয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুকি বিদ্রোহী ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বীরেন জানান, সাধারণ নাগরিককে এম-১৬, একে-৪৭, স্নাইপার বন্দুক নিয়ে আক্রমণ করেছে বিদ্রোহীরা। অনেক গ্রামে ঢুকে বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। সেনা ও নিরাপত্তাবাহিনীর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছি।
এরই মধ্যে ৪০ জন বিদ্রোহীকে গুলি করে মারা হয়েছে।
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের চারপাশে অন্তত ৫টি এলাকায় হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। সেকমাই, সুগনু, কুম্বি, ফায়েং, সেরৌতে রোববার রাত ২টা থেকে চলছে হামলা। এর মধ্যে সেকমাইতে সংঘর্ষ শেষ হয়েছে।
ইম্ফলের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ফায়েঙে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে তারা খবর পেয়েছেন। হাসপাতালে ২৭ বছরের এক কৃষকের দেহও আনা হয়েছিল। বিষেনপুরের বাসিন্দা তিনি। নাম খুমান্থেম কেনেডি। তার স্ত্রী ও শিশুসন্তান রয়েছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, আরও অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শান্তি অভিযানে মণিপুরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়। এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহীদের হামলা পূর্বপরিকল্পিত।
সময় জার্নাল/এলআর