রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়ন বেলগাছা গ্রামে বাড়ির পাশের একটি গর্ত থেকে সিমিত চন্দ্র রায় নামে ১১ বছরের এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুর্জয় চন্দ্র অধিকারী ওরফে জয় নামে ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয় ঐ কিশোরের বাবা প্রদীপ চন্দ্র অধিকারী ও ভাই বিজয় রাজকেও।
বুধবার (৭ জুন) রাতে ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বেলগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম সিমিত চন্দ্র ওই গ্রামের মানিক চন্দ্র ড্রাইভারের ছেলে। অভিযুক্ত কিশোর (১৬) একই গ্রামের প্রদীপ চন্দ্রের (দর্জির) ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় হিন্দু স¤প্রদায়ের গীতা সংঘ অনুষ্ঠান দেখতে যায় সিমিত ও তার বড় ভাই। সিমিতকে অনুষ্ঠানস্থলে রেখে বাড়িতে ফেরে তার বড় ভাই। পরে অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সিমিতের সাথে অভিযুক্ত কিশোরের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় সিমিতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওই কিশোর। পরে তাদের একটি পরিত্যাক্ত ঘরের পেছনের একটি গর্তে সিমিতের মরদেহ পুতে রাখার চেষ্টা করে। অনুষ্ঠান শেষে সিমিত বাড়িতে না ফিরলে স্বজনরা তার
খোঁজে বের হয়। পরে অভিযুক্ত কিশোরের বাবা প্রদীপ চন্দ্র তাদের পরিত্যাক্ত ঘরের পেছনের একটি গর্তে সিমিতের মরদেহ দেখিয়ে দেন। ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর সিমিতকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুুুলিশ জানায়, রাত ৩টার দিকে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও অভিযুক্ত কিশোরকে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও তার বাবা ও বড় ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহত সিমিতের পরিবার ও প্রতিবেশিরা জানান, অভিযুক্ত দুর্জয় চন্দ্র এর আগেও অনেক অপরাধমুলক কাজ করেছে। তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর সাঈদ জানায়, রাত তিনটার দিকে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে অভিযুক্ত দুর্জয় চন্দ্র অধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত কিশোরের বাবা ও বড় ভাইকে থানায় নিয়ে আসা হয়ে। নিহতের পিতা ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে ফিরছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এমআই