সাইফ ইব্রাহীম, ইবি প্রতিনিধি:
বিল্ডিং নির্মাণকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের উপর প্রতিবেশি ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন হামলার শিকার ওই অধ্যাপক। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি ও রেজিস্ট্রার বরবার পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, 'আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী, ২০২১ সাল থেকে পরিবারসহ হাউজিং ডি-৪৭০ নং বাসায় ভাড়ায় অবস্থান করছি। প্রতিদিনের মতো অদ্য ভোর ৫:৫০ মিনিটে বাসার পাশে হাউজিং ডি-ব্লক এবং সি-ব্লকের মাঝামাঝি রাস্তায় হাঁটছিলাম। এমতাবস্থায় সি ব্লকের কুষ্টিয়া কৃষি কলেজের সামনে আসা মাত্রই হাউজিং ডি- ব্লকের ১৬৭ নং প্লটের বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ, পিতা: নায়েব আলী বিশ্বাস, গ্রাম: সদরপুর, কুমারখালী, কুষ্টিয়া (প্রিন্সিপাল অফিসার অগ্রণী ব্যাংক, চৌড়হাস শাখা, কুষ্টিয়া) আমাকে দেখা মাত্রই আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং শারীরিকভাবে আঘাত করে। সেখান থেকে আমি কোন রকম নিজেকে রক্ষা করে আমার সহকর্মী অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান ও অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীকে ফোন করি। তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে জানায়। তিনি সহকারী প্রক্টর ড. হুমায়ূন শাহেদকে আমার কাছে পাঠালে তাঁর সহযোগীতায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হই। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং পরবর্তী ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে আমি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসাধীন আছি।'
অভিযোগ পত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'হামলাকারী ব্যক্তি আমাদের পাঁচজন শিক্ষকের নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর প্রতিবেশী। ইতিপূর্বে বিগত ০৭/০৬/২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক বিকেল ৬.৪৫ মিনিটে আমি ও অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী উক্ত সন্ত্রাসীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বিগত ০৮/০৬/২০২২ ইং তারিখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করি।'
এছাড়া ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ফোনে একাধিকবার তাকে এবং অধ্যাপক ড. মহিব্বুল ইসলামকে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি তার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
এমআই