স্পোর্টস ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিচ্ছেন লিওনেল মেসি। চুক্তি সম্পন্ন না হলেও দুই পক্ষের সমঝোতা হয়ে গেছে। মেসি এবং মিয়ামি চুক্তি হচ্ছে জানিয়ে ঘোষণাও দিয়েছে। বার্সায় ফেরার সুযোগ, সৌদি ক্লাবের বিশাল অঙ্কের বেতনের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লিও।
সৌদি ক্লাব আল হিলাল মৌসুমে মেসিকে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো বেতনের প্রস্তাব দিয়েছিল। দুই মৌসুমে তাকে ১ বিলিয়ন ইউরো দিতে চেয়েছিল ক্লাবটি। পরে সেটি বাড়িয়ে নাকি ১.৬ বিলিয়ন করেছিল। তাও সৌদি ক্লাবের যাননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি।
ওদিকে বার্সার শীর্ষ পর্যায়ের সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি দাবি করেছে, ইন্টার মিয়ামি মেসিকে মৌসুমে ১০০ মিলিয়ন ইউরো বেতন দেবে। তিন বছরের চুক্তির কথা উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি। কোন কোন সংবাদ মাধ্যম দুই মৌসুমের চুক্তির কথা বলেছে এবং মৌসুমে ৫০ মিলিয়ন ইউরো বেতন উল্লেখ করেছে। পিএসজি থেকেই মেসি ১০০ মিলিয়নের কাছাকাছি বেতন পেতেন।
সৌদির প্রস্তাবের তুলনায় এতো কম বেতনে মেসি কেন মিয়ামিতে খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন? তারও আছে কিছু কারণ-
অ্যাপল টিভি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের লিগ কর্তৃপক্ষের লম্বা চুক্তি হয়েছে। মৌসুমে এমএসএল’কে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো দেবে অ্যাপল। মেসি আসায় স্ট্রিমিংয়ে এমএসএলের চাহিদা বাড়বে। সেখান থেকে লভ্যাংশ দিতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া অ্যাপল টিভি মেসিকে নিয়ে চার সিরিজের একটি ডকুমেন্টারি করতে চেয়েছে। শৈশব থেকে মেসির সঙ্গে চুক্তি আছে ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের। মেসি এমএসএলে আসার পরে মার্সেনডাইজিং সেলের ওপর লভ্যাংশ দিতে চেয়েছে তারা। সেখান থেকে লিও পাবেন মোটা অঙ্কের অর্থ।
লিওনেল মেসির সঙ্গে মিয়ামির চুক্তির যে সমঝোতা হয়েছে, সেখানে খেলা ছাড়ার পর লিও চাইলে মিয়ামির অংশ কিনতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটাও তাকে চুক্তির বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছে। কারণ মেসি মূলত স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মিয়ামিতে বসবাস করার কথা ভাবছেন। এছাড়া সন্তানদের বেড়ে ওঠা, শিক্ষা-দীক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়েছে তাকে।
এছাড়া ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায়। কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, মেসি ওই দুই আসরেই খেলতে চান। সৌদির চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলাকেই সেজন্য তিনি বেশি যৌক্তিক মনে করেছেন।
এমআই