দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরেছে কলেজের শিক্ষার্থী সহ সাধারণ জনগণের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট এলাকার কাজী মন্টু কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কাজী মন্টু কলেজের ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রতি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির (৬ মাসের) ৫৮০০ টাকা অনেক শিক্ষার্থী তাদের একাউন্টে টাকা পাননি। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির তালিকা চেক করে দেখতে পায় তাদের মোবাইল ব্যাংকিং এ টাকা না দিয়ে অন্য নাম্বারে টাকা পাঠানো হয়েছে। পরে দেখা যায় ভাঙ্গারহাট কাজী মন্টু কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেওয়া উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করে ভাঙ্গারহাট কলেজ রোডে অবস্থিত “ব্রাদার্স কম্পিউটার এন্ড ইলেকট্রনিক্স” প্রোপাইটর সুজন গাইন ও সজল গাইন। এই দুর্নীতিবাজ ভ্রাতাদ্বয় শিক্ষার্থীদের অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদ এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী বা তাদের অভিভাবকদের নাম্বারের স্থানে নিজেদের এবং আত্মীয় স্বজনদের নাম্বার ব্যবহার করে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছে তার প্রমান ইতিমধ্যে মিলেছে।
এ ব্যাপারে কাজী মন্টু মহাবিদ্যালয় এর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সুবল চন্দ্র বিশ্বাস এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। দ্রুত এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এরমধ্যে কিছু শিক্ষার্থীর টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। বাকিদের টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনি এই প্রতিবেদকের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট এর পাইকের বাড়ি গ্রামের সুভাষ গাইনের ছেলে সুজন গাইন ও সজল গাইন এর সাথে টাকা আত্মসাৎ এর ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে দুইদিন চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাদের মুঠো ফোনে (019940...20) বারবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কোটালীপাড়া কাজী মন্টু মহাবিদ্যালয় একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ এর মত এমন একটি ঘৃণিত কাজ করায় প্রতিষ্ঠানটির বদনাম হয়েছে এটা আমাদের জন্য ও লজ্জাজনক। একই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও বদনাম হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমরা দুর্নীতিবাজ দুই ভাইসহ কলেজের অসৎ কর্মচারীদের শাস্তির জন্যপ্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
সময় জার্নাল/এলআর